প্রকাশিত হয়েছেঃ জুলাই ১৪, ২০২১ সময়ঃ ৭:৫৩ অপরাহ্ণ
গফরগাঁও প্রতিনিধিঃ
গফরগাঁওয়ে পাগলা থানার মশাখালী ইউনিয়নের শাহ মিসকিন (রাঃ) বাৎসরিক ওরশ মাহফিলকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন মূখী মাজারে মাদকের আড্ডডা ও বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। শাহ মিসকিন মাজার ওরশ শরিফে প্রতি বছরের ন্যায় এবার বাংলা আষাড় মাসের শেষের দিকে মাজারে দুর দুরান্ত থেকে ভক্তরা আসতে থাকে। সেই হিসাবে মাজারে খুপড়ি ঘরে অবস্থান নেয় লাল শালু কাপড় পড়া ভক্তরা। পাশাপাশি মাজারকে ঘিরে আগত মাজার পুজারিরা গান বাজনা আনন্দ উল্লাস আগর ও মোমবাতি জ্বালিয়ে সাথে চলে গাঁঁজা সেবনের ধোয়ার মাজার এলাকার অন্ধকারাছন্ত হয়ে বাতাস দুষিত হচ্ছে। মাজারে আগত উঠতি যুবকরা গাজাঁ বা অন্যান্য নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। এলাকার লোকজন জানায়, মাজারে ভন্ড ফকিরের আনাগোনা ও খুপড়ি ঘরে অবস্থান করা ভক্তরা নেশায় আসক্ত হয়ে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। মাজারে রাতের আধারে মাদক বিক্রি হলেও পুলিশ না দেখার বান করছে। প্রতিদিন রাতে বিপুল অঙ্ককের টাকার মাদক ক্রয় বিক্রয় করা হয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। আইন শৃংঙলা রক্ষাকারী বাহিনী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলার ঘোঘনা করলেও মুখি শাহ মিসকিন মাজারে মাদক ক্রয় বিক্রয় ওপেন ক্রিকেট।
১৪ জুলাই বুধবার মুখি শাহ মিসকিন মাজার আশপাশ এলাকা দুপুর ও বিকালে ঘুরে মাদক ক্রয় বিক্রয় এবং সেবনের চিত্র পাওয়া যায়।
মাজারে পাশেই রয়েছে বড় মসজিদ মুসল্লিরা নামাজ পড়ার সময় গাজাঁর ধোঁয়ায় দুগন্ধে নাক চেপে মসজিদে প্রবেশ করতে হয়। আর থেমে থেমে চলছে নাচ গান বাজনা আর অশ্লীল বেয়াপনা।
মাদক এর বিযয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গফরগাঁও সার্কেল মাহফুজা খাতুন বলেন, মুখি শাহ মিসকিন (রা) মাজারে বাৎসরিক ওরশ মাহফিলে মাদক বিক্রির বিযয়টি আমার জানা নেই। এ বিযয়ে পাগলা থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদুজ্জামান এ প্রতিনিধিকে বলেন, মুখি মাজারে এসআই লতিফ ডিউটিরত অবস্থা তাকে ০১৭১৬১৬৭৪৭৮ নাম্বারে মোবাইল করে বিযয়টি জানান।
মুখি শাহ মিসকিন(রাঃ) মাজারের খাদেম ফাহাদ ফকির বলেন, মাজারে অবস্থানরত কিছু ফকির রয়েছে এরা টুকটাক গাজাঁ সেবন করে। সব তো নিয়ন্ত্রন করা যায় না।