প্রকাশিত হয়েছেঃ সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪ সময়ঃ ৭:৪৬ অপরাহ্ণ

 স্টাফ দিগন্তবার্তা ডটকম।।
১৭ সেপ্টেম্বর একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত ‘আঙুল ফুলে কলাগাছ হাতেম খান” শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ করেছেন ভালুকা পৌর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব হাতেম খান। প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেছেন,

আমি ভালুকা পৌর বিএনপি’র আহবায়ক এবং ভালুকার একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। আমি ১৯৯২ থেকে ২০০৮ ইং পর্যন্ত ময়মনসিংহের এলজিইডি ও ভালুকা পৌরসভার তালিকা ভূক্ত ঠিকাদার ছিলাম। লটারিতে এবং কোটেশনে প্রচুর কার্যাদেশ প্রাপ্ত হয়ে সকল কার্যাদেশ সম্পন্ন করি। আমি ভালুকা উপজেলা ঠিকাদার এসোসিয়েশন এর নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক হয়ে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে ছিলাম। আমি ২০০৫ ইং থেকে ভালুকায় বাদশা গ্রুপের সাথে সম্পৃক্ত আছি। এ গ্রুপের জমি বেচা কেনা সহ বিভিন্ন বিষয় দেখা শোনা করি। বিগত ২০১০ ইং থেকে আমি ফিশারিজ ব্যবসা শুরু করি। ফিশারিজ ব্যবসা সহ জমি বেচা কেনার কমিশন আমার আয়ের মূল উৎস। আমি কারো জমি দখল, কারো কোন টাকা আত্মসাৎ বা কারো কাছ থেকে কোন ধরনের অনৈতিক সুবিধা গ্রহন করিনি। তাছাড়া আমি স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের আমলে কোনদিন ঝুট ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলাম না। আমি ১৯৯৪ ইং থেকে প্রতিবছর আয়কর দিয়ে আসছি। এমনকি গত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরেও ১৩,৩০,০০০/- (তের লক্ষ ত্রিশ হাজার) টাকা আয়কর প্রদান করি।
উল্লেখ্য যে, ভালুকার বি.এন.পি’র রাজনীতিতে গ্রুপিং আছে এবং আমি ফখর উদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চু’র বিপরীত গ্রুপের রাজনীতি করি। বিগত ১৭ বছর বি.এন.পি’র সকল আন্দোলন সংগ্রামে আমি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছি। যার ফলশ্রুতিতে দুই বার দলের সমর্থন নিয়ে ভালুকা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রতিক (ধানের শীষ) নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করি। আমার নামে বিগত স্বৈরাচার সরকার তিনটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। ২০০১ ইং থেকে আমি সামাজিক বিভিন্ন কাজের সাথে সম্পৃক্ত হই। বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহযোগীতাসহ ধর্মীয় উৎসবে সাধারন মানুষের পাশে থেকে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছি। মহামারি করোনা কালীন সময়ে ময়মনসিংহে আমি জেলা প্রশাসক কর্তৃক বিভাগীয় সর্বোচ্চ দাতা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করি।
একটি স্বার্থনেশি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য বিগত ২০১৫ইং সালে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ এনে দুদকে একটি দরখাস্ত দেয়। পরবর্তীতে একাধিক তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করে আমার বিরদ্ধে আনিত অভিযোগের কোন সত্যতা না পেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০২০ ইং সালে আমাকে ওই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন।

ভালুকায় যেহেতু গ্রুপিং রাজনীতি, সুতরাং উপজেলা বি.এন.পি’র সাবেক আহবায়ক ফখর উদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চু’র সাথেও আমার কোন ধরনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক নাই। ০৫/০৮/২০২৪ ইং পর হতে আমি আমার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যারন জননেতা তারেক রহমানের নির্দেশে ভালুকা’কে দখলদার ও চাঁদা মুক্ত রাখতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। পৌরসভার বিভিন্ন হাট বাজারে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দখল দারিত্ব রোধে সক্রিয় ভূমিকাসহ সকল শিল্প কারখানায় শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে আসছি। সেই বিষয়ে আমার দল এবং ভালুকার জনগণ পরিপূর্ণভাবে অবগত। ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে হিন্দুসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে সম্প্রীতি সমাবেশ ও প্রীতি ভোজের আয়োজন করেছি। ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য আসন্ন দূর্গাপূজাকে সামনে বিভিন্ন পূজা মন্ডপেবের নেতৃবৃন্দদের সাথে মতবিনিময়সহ আর্থিক সহযোগিতা চলমান। আমি ইতিমধ্যেই পূজা উদ্যাপন উপলক্ষে নিরাপত্তা কমিটি গঠন করেছি। আমার এহেন ভূমিকায়, ভালুকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় আছে।

অনলাইন নিউজ পোর্টালে আমার নামে যেই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে সেটাই উল্লেখিত কোন তথ্যই সত্য নয়। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি কুচক্রীমহল আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রনোধিত ও মানহানিকর প্রতিবেদনটি করিয়ে থাকতে পারে। অনলাইন পোর্টালে এ ধরনের মিথ্যা সংবাদ কোন ভাবেই কাম্য নয়। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং আপনাকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবী জানাচ্ছি।

নিবেদক
আলহাজ হাতেম খান
আহবায়ক, ভালুকা পৌর বিএনপি।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com