প্রকাশিত হয়েছেঃ আগস্ট ১৭, ২০২৪ সময়ঃ ১০:২৪ অপরাহ্ণ

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি।।

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার উথুরা রেঞ্জের আওতায় আঙ্গারগাড়া বিটের অধিনে চাঁনপুর মৌজার গারোবাজার এলাকায় ২২৩ নম্বর দাগে বিট কর্মকর্তাকে মেনেজ করে বনবিভাগের জমিতে বহুতল ভবন নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। ওই এলাকায় মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন বিশাল আকারের বহুতল ভবন নির্মান করছেন। গত শনিবার (১৭ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আগেরদিন শুক্রবার একতলার ছাদের ঢালাইয়ের কাজ শেষ করেছেন। মৃত আব্দুস সামাদের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম জানান, বনের লোকদের সাথে কথা বলে, তাদের অনুমতি নিয়েই শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ঢালাইয়ের কাজ করেছেন।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, একই দাগে মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে মোবারক হোসেনকে বাড়ি নির্মান করতে দেয়নি বনবিভাগ কিন্তু রহস্যজনক কারনে একই দাগে ১৫ ফুট দুরে বহুতল ভবন করতে অনুমোদন দেয়া হয়েছে এবং তারা ছাদের ঢালাইও দিয়ে ফেলেছে।
মৃত মুক্তিযুদ্ধার ছেলে জানান, বনের লোকদের ৩০ হাজার টাকা দিতে চাইলেও টাকা নেয়নি, তাদের হয়তো আরো বড় অঙ্কের টাকার দাবি ছিলো। এমনকি বেশ কয়েকটি পিলার ভেঙে দিয়ে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি করা হয়েছে। কিন্তু একই দাগে বহুতল ভবন করার বিষয়ে জানতে চাইলে বনের লোকজন ওদেরটা নিয়ে বারাবারি করতে নিষেধ করেন।
স্থানীয় লোকজন আরো জানান, বর্তমান বিট অফিসার এখানে যোগদানের পর আওয়ামীলীগের দাপট দেখিয়ে বহু বাড়ি ঘর নির্মানের অনুমতি দিয়েছেন এবং নিজে ও তার বিশ্বস্থ মালি সোহাগ প্রতি বাড়ি ঘর বাবদ মোটা অঙ্কের অনৈতিক সুবিধা হাতিয়ে নিয়েছেন।
তাছাড়া অবাদে গাছ কাটাসহ বিভিন্নমৌজা থেকে উচু টিলা কেটে নিয়েছে মাটি ব্যবসায়ীরা। আর ওই বিট অফিসার মাসোহারা নিয়ে মাটি ব্যবসায়ীদের সুযোগ করে দিতেন। এতে মাটির শ্রেনী পরিবর্তনের হিড়িক পড়ে যায় এই বিটে। এলাকাবাসি ওই অসাধূ বিট কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলির জোর দাবি জানান।
আঙ্গারগাড়া বিট অফিসার মাজহারুল ইসলামের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, চাঁনপুর মৌজায় বহুতল ভবন নির্মানের বিষয়টি তার জানা নেই।
উথুরা রেঞ্জ কর্মকর্তা রেদুয়ান জানান, ওই বিষয়সহ আরো একটি বাড়ি নির্মানের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আরো দুই মাস আগে বিট অফিসারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো, কিন্তু কিভাবে কাজ অব্যাহত আছে, তা তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান।
ময়মনসিংহ (দক্ষিণ) সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) সাদিকুল ইসলাম জানান, খোঁজ নিয়ে বিষয়টি তিন দেখবেন বলে জানান।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আ ন ম আব্দুল ওয়াদুদ জানান, বনভূমিতে অবৈধভাবে ভবন নির্মানকারীর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com