প্রকাশিত হয়েছেঃ অক্টোবর ১৮, ২০২২ সময়ঃ ৯:৪৯ পূর্বাহ্ণ
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। ২ হাজার ৬৯১ ভোটের মধ্যে ২৫৬৭ ভোট একাই পেয়েছেন তিনি। বিপরীতে পেয়ারুলের ‘বাধা’ স্বতন্ত্র প্রার্থী নারায়ণ রক্ষিত পেয়েছেন মাত্র ১২৪ ভোট।
এবার জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কৃষকলীগ নেতা অ্যাডভোকেট ফয়েজুল ইসলাম মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলামের পথ ‘সুগম’ করে দিলেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার জয়ে বাধা হন জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির (নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন) মহাসচিব জয় প্রকাশ নারায়ণ রক্ষিত। শুরু থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ভোটের মাঠ চষে বেড়ালেও অনেকটা লুকিয়ে ছিলেন তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী। যদিও তার দাবি হামলা-মামলার ভয়ে কৌশলে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন তিনি।
ভোটাররা বলছেন, বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভার জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনে ভোটার। আর বেশিরভাগ জনপ্রতিনিধিই ক্ষমতাসীন দলের। তাই পেয়ারুলের জয় অনেকটাই নিশ্চিত ছিলো। নারায়ণের বাধায় চেয়ারম্যানের ভোট ছিলো অনেকটা আনুষ্ঠানিকতা। সেই আনুষ্ঠানিকতার ভোটে ২৫৬৭ ভোট পেয়েছেন পেয়ারুল ইসলাম। ‘অপরিচিত’ নারায়ন রক্ষিত ১২৪ ভোটকে চোখে কম দেখছেন না তারা।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন ঘোষণা করেন এই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান।
এর আগে, সকাল ৯টা থেকে টানা ২টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলা সদরে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের প্রতিটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ মনিটরিং করার জন্য প্রতি ভোটকেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। এসব ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচনে ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করে ঢাকার নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস থেকে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান জানান, চট্টগ্রামের ১৫টি কেন্দ্রে ২ হাজার ৬৯৪ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। এতে ২৫৬৭ ভোট পেয়ে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। তার প্রতিদ্বন্দ্বি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নারায়ণ রক্ষিত পেয়েছেন ১২৪ ভোট।
উল্লেখ্য, নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা দুই হাজার ৭৩০ জন। ১৫টি ওয়ার্ডের ১৫টি ভোটকেন্দ্রের ৩০টি বুথে চলে ভোটগ্রহণ। ভোটগ্রহণে ১৫ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ৩০ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ৬০ জন পোলিং কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। চট্টগ্রামের জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৭০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে একজন, সাধারণ সদস্য ১৫ জন ও ৫ জন সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচিত হবেন।