প্রকাশিত হয়েছেঃ অক্টোবর ১৮, ২০২২ সময়ঃ ৫:২৭ অপরাহ্ণ

Spread the love

মোঃ জাকির হোসেন, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি।।

ময়মনসিংহ নগরীতে বস্তাবন্দি লাশ পাওয়ার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে হত্যার শিকার নারীর স্বামী ও ভাড়াটিয়া বাসার মালিককে। রোববার গাজীপুরে অভিযানে চালিয়ে নিহতের স্বামী ও বাসার মালিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার সকালে নগরীর আকুয়া-রহমতপুর বাইপাস রোডের বাদেকল্পা এলাকা থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক নারীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে পরিচয় পাওয়া না গেলেও আঙুলের ছাপ থেকে নিহতের পরিচয় শনাক্ত হয়। নিহতের নাম তাসলিমা আক্তার (৩২)। সে জেলার নান্দাইল উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের বাশাটি গ্রামের আবদুর রশিদের মেয়ে। পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর ওই দিন রাতেই নিহতের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেন।

পরে পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় গৃহবধূ তাসলিমা হত্যার রহস্য উদঘাটন, হত্যাকাণ্ডের মূলহোতাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার ও লাশ বহনে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার জব্দ করেছে। রোববার গাজীপুর সহ আশপাশ এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন- নিহতের স্বামী মেহেদী হাসান (২২) এবং ভাড়াটিয়া বাসার মালিক স্বপন বেপরী (৩৮)। এদের মধ্যে মেহেদী জেলার ফুলপুর উপজেলার গোয়াডাঙা গ্রামের ছোহরাব আলীর ছেলে। আর স্বপন বেপারী গাজীপুরের গাছা থানার দুলাল মার্টেক এলাকার বাসিন্দা।

অভিযুক্ত মেহেদীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ জানায়, বছর খানেক আগে মেহেদীর সঙ্গে বিয়ে হয় তাসলিমার। এটি তাসলিমার তৃতীয় বিয়ে ছিলো। মেহেদী একটি কোম্পানির হয়ে চট্টগ্রামে কাজ করতেন। তাসলিমা গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। গাজীপুর এলাকায় থাকার সময় বিয়ে হলেও বিয়ের পর মেহেদী তাসলিমাকে নিয়ে চট্টগ্রামে চলে যান। নিজের চাকরি চলে যাওয়ায় গত ১১ অক্টোবর তাসলিমাকে নিয়ে গাজীপুরের গাছা এলাকায় স্বপনের বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে ওঠেন। গাজীপুরে বাসায় ওঠার পরদিন বুধবার তাসলিমাকে হত্যার পর পালিয়ে যায় মেহেদী। নিজের থেকে স্ত্রীর বয়স বেশি, স্ত্রীর সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে ঝগড়া ও তৃতীয় স্বামী হয়ে থাকতে ভালো না লাগায় শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পালায় মেহেদী। পরে বৃহস্পতিবার বাসার মালিক স্বপন নতুন ভাড়াটিয়ার জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখেন মেহেদী নেই, পড়ে আছে তাসলিমার মরদহে। ওই অবস্থায় স্বপন কাউকে কিছু না জানিয়ে লাশটি বস্তায় ভরে নিজের প্রাইভেটকার দিয়ে ময়মনসিংহ নগরীর আকুয়া-রহমতপুর বাইপাস রোডের পাশে ফেলে যান।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ বলেন, নিজের থেকে বয়স বেশি, তৃতীয় স্বামী হয়ে থাকতে ভালো না লাগাসহ পারিবারিক অশান্তির কারণে স্ত্রীকে হত্যা করে মেহেদী। পরে সেই লাশ গুম করেন বাসার মালিক স্বপন। এ ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের পর সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com