প্রকাশিত হয়েছেঃ আগস্ট ২২, ২০২২ সময়ঃ ৫:৩৭ অপরাহ্ণ

ত্রিশাল থেকে স্টাফ রিপোর্টার।।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাকসহ একাধারে মুক্তিরও ডাক দিয়েছিলেন। শুধু স্বাধীনতার ডাক দিয়ে দেশ স্বাধীন করলে হয়তো বঙ্গবন্ধুকে প্রাণ দিতে হতো না। যেহেতু তিনি মুক্তিরও ডাক দিয়েছিলেন তাই বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো ভেবেছিল বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে তারা এই উপমহাদেশে কর্তৃত্ব খাটাতে পারবে না। আর একারণেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্র মিলে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করে। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশ আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কেবল বঙ্গবন্ধুর মধ্যেই বিদ্যমান ছিল না বরং তঁার পরিবারের সকল সদস্যের মধ্যে বিরাজমান ছিল। তঁার পরিবারের সকলেই মুক্তি সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন। আর তাই ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই নয় তঁার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও নির্মমভাবে হত্যা করে। তারা ছোট্ট শিশু শেখ রাসেলকেও বাঁচতে দেয় নি। মহান সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা বেঁচে যান। ড. সৌমিত্র শেখর আরও বলেন, মাত্র ৩৪ বছর বয়সে বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা দেশে আসেন। তিনি দেশে এসেই আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উত্তরাধীকার বহন করছেন শেখ হাসিনা। তঁার যে পথচলা সেই পথ চলা প্রমাণ করেছে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের একজন বেঁচে থাকলেও তঁার আদর্শ ও চেতনাকে হত্যা করা যায় না। তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে তঁার দেখানো পথ অনুসরণ করে আমাদের যার যা দায়িত্ব আছে তা পালন করলেই কেবল একাত্তরের মুক্তি সংগ্রামের লক্ষ্য অর্জিত হবে এবং শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে।

কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশ (সিবিএমসিবি)-এর অধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান খান চৌধুরী আলোচনা সভায় সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এসময় কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশ (সিবিএমসিবি)-এর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্তি ছিলেন।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com