প্রকাশিত হয়েছেঃ জুন ২৮, ২০২৪ সময়ঃ ৬:৫৬ অপরাহ্ণ
আসাদুজ্জামান ভালুকা (ময়মনসিংহ)।।
ময়মনসিংহের ভালুকায় সৌদি প্রবাসী মুহাম্মদ আলীর স্ত্রী শান্তা খাতুন (২২) চিরকুট লিখে নিজ বসতঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেছেন। আতœহত্যার পর নিহতের পা খাটের সাথে লাগানো ছিলো। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে (২৮ জুন) উপজেলার ঢাকুরিয়া গ্রামে। এ ঘটনায় শান্তার বাবা আইয়ুব আলী বাদী হয়ে মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাঁচবছর পূর্বে পাশের কাদিগড় গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে মুহাম্মদ আলীর সাথে ঢাকুরিয়া গ্রামে আইয়ূব আলীর কন্যা শান্তা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে মুন্নী নামে একটি কন্যা সন্তান জন্মলাভ করে। গত দুই বছর পূর্বে মুহাম্মদ আলী স্ত্রীকে নিজবাড়িতে রেখে চাকরী নিয়ে সৌদিআরব চলে যান। এদিকে শান্তার ভাসুর আতাব উদ্দিনের মেয়ে স্কুল পড়ূয়া মীমের সাথে শান্তার চাচাতো ভাই হাসিবুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বৃস্পতিবার (২৭ জুন) স্কুলে যাওয়ার কথা বলে মীম প্রেমিক হাসিবুলের সাথে তার বাড়িতে চলে যায়। এ ঘটনার জের ধরে শান্তার ভাসুর আতাব উদ্দিন, অপর ভাসুর আল আমীন ও শ^াশুরি মমতাজ বেগম নানাভাবে শান্তার উপর চাপ প্রয়োগসহ গালমন্দ করেন। দুপুরে শান্তা তাঁর শ^শুরবাড়ির লোকজনকে সাথে নিয়ে হাসিবুলদের বাড়িতে যান। মীম তার বাবাসহ পরিবারের অন্যান্যদেরকে জানিয়ে দেয় যে, সে নিজ ইচ্ছায় হাসিবুলের সাথে চলে এসেছে এবং সে হাসিবুলকেই বিয়ে করবে। এ কথা শুনে মীমের পরিবারের লোকজন ওই বাড়ি থেকে চলে আসেন এবং শান্তাকে মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন। পরে মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরে বৃহস্পতিাবর সকালে শান্তা একটি চিরকুট লিখে বসরঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যার পর শান্তার পা খাটের সাথে লাগানো ছিল। এতে শান্তার পরিবারের লোকজন দাবী করছে শান্তাকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে।
চিরকুটে লিখা রয়েছে “আমার উপর শ^শুরবাড়ির লোকদের দেয়া এতো বড় মিথ্যা অপবাদ সইতে পারলাম না। আমি মীম এবং হাসিবুলের ঘটনার সাথে কোনো ভাবেই জড়িত না। আমাকে শুধু শুধু দায়ি করা হয়েছে। এ অপবাদ সইতে না পেরে নিজেই দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলাম। আমি মারা যাওয়ার পর আমাকে পাড়াগাঁও (তার বাবা বাড়িতে) কবর দিবেন। আমার মেয়ে মুন্নীকে একটি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করিয়ে ভালো মানুষ হিসাবে গড়ে তুলবেন। একদিন তো সবাইকে মরতে হবে। আমি না হয় আগেই চলে গেলাম। সবাই ভালো থাকবেন”।
ভালুকা মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ শাহ কামাল আকন্দ জানান, এ ঘটনায় আতœহত্যার প্ররোচনায় একটি মামলা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ময়মনসিংহের ভালুকায় সৌদি প্রবাসী মুহাম্মদ আলীর স্ত্রী শান্তা খাতুন (২২) চিরকুট লিখে নিজ বসতঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেছেন। আতœহত্যার পর নিহতের পা খাটের সাথে লাগানো ছিলো। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে (২৮ জুন) উপজেলার ঢাকুরিয়া গ্রামে। এ ঘটনায় শান্তার বাবা আইয়ুব আলী বাদী হয়ে মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাঁচবছর পূর্বে পাশের কাদিগড় গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে মুহাম্মদ আলীর সাথে ঢাকুরিয়া গ্রামে আইয়ূব আলীর কন্যা শান্তা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে মুন্নী নামে একটি কন্যা সন্তান জন্মলাভ করে। গত দুই বছর পূর্বে মুহাম্মদ আলী স্ত্রীকে নিজবাড়িতে রেখে চাকরী নিয়ে সৌদিআরব চলে যান। এদিকে শান্তার ভাসুর আতাব উদ্দিনের মেয়ে স্কুল পড়ূয়া মীমের সাথে শান্তার চাচাতো ভাই হাসিবুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বৃস্পতিবার (২৭ জুন) স্কুলে যাওয়ার কথা বলে মীম প্রেমিক হাসিবুলের সাথে তার বাড়িতে চলে যায়। এ ঘটনার জের ধরে শান্তার ভাসুর আতাব উদ্দিন, অপর ভাসুর আল আমীন ও শ^াশুরি মমতাজ বেগম নানাভাবে শান্তার উপর চাপ প্রয়োগসহ গালমন্দ করেন। দুপুরে শান্তা তাঁর শ^শুরবাড়ির লোকজনকে সাথে নিয়ে হাসিবুলদের বাড়িতে যান। মীম তার বাবাসহ পরিবারের অন্যান্যদেরকে জানিয়ে দেয় যে, সে নিজ ইচ্ছায় হাসিবুলের সাথে চলে এসেছে এবং সে হাসিবুলকেই বিয়ে করবে। এ কথা শুনে মীমের পরিবারের লোকজন ওই বাড়ি থেকে চলে আসেন এবং শান্তাকে মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন। পরে মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরে বৃহস্পতিাবর সকালে শান্তা একটি চিরকুট লিখে বসরঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যার পর শান্তার পা খাটের সাথে লাগানো ছিল। এতে শান্তার পরিবারের লোকজন দাবী করছে শান্তাকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে।
চিরকুটে লিখা রয়েছে “আমার উপর শ^শুরবাড়ির লোকদের দেয়া এতো বড় মিথ্যা অপবাদ সইতে পারলাম না। আমি মীম এবং হাসিবুলের ঘটনার সাথে কোনো ভাবেই জড়িত না। আমাকে শুধু শুধু দায়ি করা হয়েছে। এ অপবাদ সইতে না পেরে নিজেই দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলাম। আমি মারা যাওয়ার পর আমাকে পাড়াগাঁও (তার বাবা বাড়িতে) কবর দিবেন। আমার মেয়ে মুন্নীকে একটি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করিয়ে ভালো মানুষ হিসাবে গড়ে তুলবেন। একদিন তো সবাইকে মরতে হবে। আমি না হয় আগেই চলে গেলাম। সবাই ভালো থাকবেন”।
ভালুকা মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ শাহ কামাল আকন্দ জানান, এ ঘটনায় আতœহত্যার প্ররোচনায় একটি মামলা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোট পড়া হয়েছে: ১০১
সর্বশেষ খবর
- গফরগাঁওয়ে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন
- ভালুকা দলিল লেখক সমিতির কমিটি গঠন : রাব্বানী সভাপতি আমির হোসেন সম্পাদক
- প্রকাশিত মিথ্যা মনগড়া ও মানহানিকর সংবাদের প্রতিবাদ
- জুড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে নিবন্ধ পাঠের আয়োজন
- ভালুকায় জামায়াত নেতা অ্যাড. খোরশেদ উদ্দিন পাঠানের ইন্তেকাল