প্রকাশিত হয়েছেঃ জুন ২১, ২০২২ সময়ঃ ২:০৭ অপরাহ্ণ

Spread the love
মোঃ জাকির হোসেন,তারাকান্দা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি।।
ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় মৎস্য পোনা উৎপাদনের জন্য ব্যক্তিমালিকানায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য  হ্যাচারি। তার অধিকাংশই অনিবন্ধিত। এসব মৎস্য হ্যাচারি থেকে পোনা সরবরাহ করা হচ্ছে সারাদেশে। অনিবন্ধিত এসব মৎস্য হ্যাচারি থেকে পোনা নিয়ে চাষ প্রতারিত দিয়ে প্রতারিত হচ্ছে অনেক মৎস্য চাষী। নিম্নমানের এসব পোনা নিয়ে পুকুরে চাষ দিলে সহজে রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মাছ চাষিরা।
মৎস্য পোনা ব্যবসায় লাভের কারণে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে এসব মৎস্য হ্যাচারি। কিন্তু অধিকাংশ মৎস্য হ্যাচারীর নেই নিবন্ধন। এসব হ্যাচারি পরিচালনার জন্য নেই পর্যাপ্ত ব্রুড মাছ, পুকুর এবং অন্যান্য সরঞ্জাম।পরিচালকদের নেই কোন পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ। এসব হ্যাচারিতে নিয়ন্ত্রণ করা হয়না ইনব্রিডিং সমস্যা। কিছু অসাধু হ্যাচারির ব্যবসায়ী বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে যে, স্থানীয় মাছের আড়ৎ থেকে শিং , পাবদা, গুলশা, মাগুর সহ ডিমওয়ালা ব্রুড মাছ কিনে নিয়ে তা পিজি ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রজনন করিয়ে ডিম রেখে পরের দিন সেই মাছ আবার বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে। মানুষ অজান্তেই তা কিনে নিয়ে খাচ্ছে যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় তারাকান্দা উপজেলার নলদিঘী, মাঝিয়ালী,দিস্তা , লাউটিয়া, ভূষাগঞ্জ, ভেরুয়া, কালিখা,বালিখা, গালাগাও, চিনাপাড়া, কামারিয়া, গোপালপুর, কামারগাঁও, দাদার, নিমতলা সহ উপজেলায় রয়েছে প্রায় ৪০০ মত মৎস্য হ্যাচারি। তারাকান্দা উপজেলার মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, এই উপজেলায় নিবন্ধিত মৎস্য হ্যাচারি রয়েছে মাত্র ৯৫ টি। যেখানে উপজেলার দারোগাবাড়ী মোড় থেকে নলদিঘী  একটি এলাকায় রয়েছে প্রায় দেড় শতাধিক মৎস্য হ্যাচারি।
বাংলাদেশ ফিস হ্যাচারি এন্ড ফার্ম ওর্নাস এসোসিয়েশনের  যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, সরকারী বিধি মোতাবেক হ্যাচারি নিবন্ধিত থেকে গুণগত মানসম্পন্ন পোনা উৎপাদন করা উচিত। পোনা উৎপাদনে অনিবন্ধিত হ্যাচারি গুলো ইনব্রিডিং সমস্যা ছড়ায়। ২০১১ সালে হ্যাচারি নীতিমালা হওয়া সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত অধিকাংশ হ্যাচারি নিবন্ধিত হয়নি। সরকারের এক্ষেত্রে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আবুবক্কর সিদ্দিক বলেন, আমাদের জনবল সংকট থাকা সত্ত্বেও মৎস্য হ্যাচারি নিবন্ধনের জন্য উদ্বুদ্ধকরণ ও সচেতনতা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যারা মৎস্য হ্যাচারি নিবন্ধন করছে না মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাদের জরিমানা করা হচ্ছে।মৎস্য হ্যাচারি নিবন্ধনের জন্য অনেক আবেদন জমা পড়েছে । কিন্তু সেগুলো অডিট করে হ্যাচারির প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি না থাকায় নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে না।
এসব মৎস্য হ্যাচারি নিবন্ধন না থাকায় একদিকে সরকার যেমন হারাচ্ছে রাজস্ব অন্যদিকে মানহীন পোনা নিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন মৎস্য চাষীরা।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com