প্রকাশিত হয়েছেঃ জানুয়ারি ১৯, ২০২৫ সময়ঃ ৭:২৬ অপরাহ্ণ

Spread the love

আসাদুজ্জামান ভালুকা (ময়মনসিংহ)।।

বাংলাদেশের মুসলমানের একটি শ্লোগানই থাকবে সেটি হলো ‘নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার’। ৯২ ভাগ মুসলমানের এই দেশে একেবারে কিয়ামত পর্যন্ত এই শ্লোগনকে বুকে ধারণ করতে হবে এবং এক শ্লোগানেই বাংলাদেশ চলবে। যারা এই শ্লোগান ধারণ করতে পারবেন না, তারা ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। শনিবার (১৮ জানুয়ারী) যোহর বাদ ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার কংশেরকুল দরবার শরীফ প্রঙ্গনে বড় দোয়া অনুষ্ঠানের পূর্বে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি ওই কথাগুলো বলেন।
দরবার শরীফের ৮৯ তম বড় দোয়া পরিচালনা করেন, দরবার শরীফের গদিনশিন পীর আলহাজ¦ মাওলানা আসাদুজ্জামান সিদ্দীকি। অনুষ্ঠানে মেহমান হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব আলহাজ¦ অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী, জেলার পিপি অ্যাডভোকেট আনোয়ার আজিজ টুটুল, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সালাউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ফখর উদ্দিন আহমেদ বাচ্চু, হাতেম খান ও নাসির উদ্দিন সরকার প্রমূখ।
জানা যায়, পীরে কামেল মরহুম হযরত মাওলানা জাহেদুল হক (র:) তৎকালীন সময়ে হাকিমুল উম্মা আশরাফ আলী থানবী (র:) এর কাছ থেকে তিনি পড়াশোনা শেষ করেন। পরবর্তীতে আধ্যাত্মিক ধর্ম সাধক পীরে কামেল কেরামত আলী জৈনপুরী (র:) এর কাছ থেকে খেলাফত গ্রহণ করেন। একই সময়ে তার সাথে খেলাফত গ্রহণ করেন, ময়মনসিংহ বড় মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম হযরত মাওলানা ফয়জুর রহমান (র:), তারাকান্দার পীরে কামেল হযরত মাওলানা আব্দুল হেলিম (র:) এবং পাঁচবাগী পীরে কামেল মরহুম হযরত মাওলানা শামছুল হুদা (র:)।
পীরে কামেল মরহুম হযরত মাওলানা জাহেদুল হক (র:) দেওবন্দ মাদরাসা থেকে তিনি যুগ শ্রেষ্ঠ আলেম হিসেবে সুনাম অর্জন করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ভারত থেকে নিজ গ্রাম কংশেরকুলে চলে আসেন। তৎকালীন ধর্ম সম্পর্কে অনগ্রসর ও অজ্ঞ নিজ গ্রাম থেকে শুরু করে পার্শ¦বর্তী গ্রাম, উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে তিনি মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দিতেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন উনার কাছে আসতেন ইসলামের জ্ঞান অর্জনের জন্য। সংসার জীবনে উনার দুই ছেলে ছিলেন, মরহুম হযরত মাওলানা মোস্তফা কামাল (র:)। যিনি ছিলেন, একজন আপোষহীন ধর্ম প্রচারক। সারাবছর তিনি বিভিন্ন একলাকায় ঘুরে ঘুরে মানুষদেরকে কালেমার দাওয়াত দিতেন। অপরজন মরহুম হযরত মাওলানা আবু বকর ছিদ্দিক (র:)। যিনি তার পিতার ইন্তেকালের পর থেকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মরহুম হযরত মাওলানা জাহেদুল হক (র:) প্রতিষ্ঠিত কংশেরকুল দরবার শরীফের ইমাম ও খতিব ছিলেন। মরহুম হযরত মাওলানা জাহেদুল (র:) উনার জীবদশায় ছেলেদেরকে নিয়ে প্রতি ৩ বছর পর পর বিশাল এক মকবুলে মোনাজাতের আয়োজন করতেন যা ’বড় দোয়া’ নামে পরিচিত।
উল্লেখ্য, মাওলানা জাহেদুল হক (র:) কংশেরকুল দরবার শরীফের মসজিদটি ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৯৪০ সাল থেকে মসজিদ প্রঙ্গণে বড় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। যুগ যুগ ধরে এই ”বড় দোয়ায়’ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় লক্ষাধিক আশেকান ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করে থাকেন। তারই ধারাবাহিকতায় উনার নাতিনদের তত্বাবধানে দরবারটি বর্তমানে সু-শৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে এবং আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারী) বাদ যোহর ’বড় দোয়ার’ আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত মকবুলে মোনাজাত ’বড় দোয়ায়’ সকলকে দরবার শরীফের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com