প্রকাশিত হয়েছেঃ জানুয়ারি ৫, ২০২৫ সময়ঃ ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ

Spread the love
আসাদুজ্জামান ভালুকা (ময়মনসিংহ)।।
ময়মনসিংহের ভালুকার হবিরবাড়ি এলাকায় দিয়ে প্রবাহিত লাউতি ও বিলাইজুরি খালের মাটি হরিলুট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রায় প্রতিদিনই ডাম্পট্রাকের মাধ্যমে খাল খননের মাটি লুট করে বিভিন্ন বাসা বাড়িসহ ইটভাটায় বিক্রি করছে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। গত বছর ময়মনসিংহ পানিউন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে লাউতি খালের ১৪.৬ কিলোমিটার খনন করা হয়।
খোঁজ নিয়ে ও বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ময়মনসিংহ পানিউন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উদ্যোগে লোক দেখানো লাউতি ও বিলাইজুরি খাল দু’টি খননের পর মাটিগুলো খালের পাড়েই রাখা হয়। কিন্তু খননের পরই শুরু হওয়া অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে প্রায় অর্ধেক মাটি পূণরায় খলে চলে যায়। আর যেসব মাটি ছিলো তা থেকে কিছু মাটি সাথে সাথেই লুট হয়ে যায়। অবশিষ্ট মাটিগুলো বেশ কিছুদিন ধরে উপজেলার কাশর, হাবিরবাড়ি, আউলাতলীসহ ভাটি এলাকায় খালের পাড় থেকে প্রতি রাতেই এস্কেকেভেটর দিয়ে মাটি তুলে ডাম্পট্রাকের মাধ্যেমে মাটি লুট করে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট বাসা বাড়ি ও ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে। ভালুকা সিডষ্টোর-বাটাজোর সড়কে লাউতি খালের উপর নির্মিত ব্রিজের উজানে কাশর এলাকার প্রায় সব মাটিই লুট করে নিয়ে যাচ্ছে এবং প্রতিট্রাক এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসি জানান, স্থানীয় শাহাব উদ্দিন তালুকদার, আফাজ উদ্দিন, আব্দুল হাকাম, আবুল কাশেম, মজলিস, ইলিয়াস, রুবেল খান, জসিম উদ্দিন ও দুলু মিয়াসহ বেশ কয়েকজন লোক এ সব কাজের সাথে জড়িত রয়েছে। এসব ব্যক্তিরা খালের ভাটি এলাকায় বিভিন্ন স্থানে খাল পাড়ে রাখা খননের প্রায় সব মাটিই পর্যায়ক্রমে এস্কেকেভেটর দিয়ে ডাম্পট্রাকে করে ইটভাটাসহ বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও কারখানার নিচু ভূমি ভরাটের জন্য সিন্ডিকেটের কাছ থেকে কিনে নিচ্ছে ওইসব মাটি।
এ ব্যাপারে হবিরবাড়ি এলাকার শাহাব উদ্দিন তালুকদার ও জসিম উদ্দিন মাটি বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডে আবেদন করেই তারা লাউতি খাল পাড়ের মাটি নিয়ে তার তাদের জমির নিচুস্থান ভরাট করেছেন। এস্কেভেটরের মালিক আবুল কাশেম জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের লিখিত অনুমতি সাপেক্ষে তারা মাটি কেটে নিচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভালুকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হাসান আব্দুল্ল্যাহ আল মাহমুদ জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ওই ব্যাপারে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ময়মনসিংহের উপসহকারী প্রকৌশলী গৌতম বিশ^াস জানান, গত বছর ১৫ কোটি ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে খিরু নদীর ২৪. ৩ কিলোমিটার, ৫ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে লাউতি খালের ১৪.৬ কিলোমিটার ও ৮৩  লাখ টাকায় ব্যয়ে  ৪. ৯০০ কিলোমিটার বিলাইজুরি খালটি খনন করা হয়। খননের পর মাটিগুলো পাড়েই রাখা হয়েছিলো। ওইসব মাটি বিক্রি বা কেটে নেয়া যাবেনা। যদি কেউ তা নিয়ে থাকে তবে খোঁজ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com