প্রকাশিত হয়েছেঃ ডিসেম্বর ১২, ২০২৪ সময়ঃ ৪:৪২ অপরাহ্ণ
আসাদুজ্জামান ভালুকা (ময়মনসিংহ)।।
ময়মনসিংহের ভালুকায় স্বামী-স্ত্রীসহ কারখানার তিন শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে মডেল থানা পুলিশ। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া ও কাশর এলাকা থেকে ওই তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতেরা হলেন, দিনাজপুর জেলার বিরল থানার ঘাগড়াগাছি গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে সাগর ইসলাম (২৫) ও তার স্ত্রী নেত্রকোনা জেলার মদন থানার ইমদাদপুর গ্রামের সুদু মিয়ার মেয়ে নূপুর আক্তার (১৯)। নিহত আরেকজনের নাম সোনালী আক্তার (১৭)। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার শোলাকিয়া এলাকার আবুল হোসেনের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাগর ইসলাম ও নূপুর আক্তার উপজেলার মাস্টারবাড়ি এলাকায় অবস্থিত ক্রাউন ওয়ার্স প্রাইভেট লিমিটেডে দীর্ঘদিন যাবৎ মেকানিক্যাল হেলপার ও সুয়িং অপারেটর হিসেবে চাকরি করছিলেন। এ সময় তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠায় গত কোরবানী ঈদের আগে তাদের পরিবারকে না জানিয়ে গোপনে তারা বিয়ে করেন। হবিরবাড়ি ডুবালিয়া পাড়ার হেকমত মন্ডরের বাসার তিনতলায় ভাড়ায় থেকে চাকরি করে আসছিলেন। বুধবার (১১ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় খবর পেয়ে মডেল থানা পুলিশ ওই বাসা থেকে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ২টি ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় নবদম্পতির লাশ উদ্ধার করে। কি কারণে দম্পতি আতœহত্যা করেছে দুই পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কিছুই বলতে পাচ্ছে না। অপর একসূত্র জানায়,এরআগেও নূপুরের আরেকটি বিয়ে হয়ে ছিল,ওই স্বামীর ঘরে এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
অপরদিকে একইদিন একই সময়ে ছোট কাশর এলাকা থেকে সোনালী আক্তার (১৭) নামে অপর এক নারী শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত দেড় মাসে পূর্বে সাগর নামে এক মিল শ্রমিকের সাথে তার বিয়ে হয়। তিনি হবিরবাড়ি ইউনিয়নের ছোট কাশর এলাকার জয়নালের বাসায় ভাড়ায় থেকে স্থানীয় অ্যাডভান্স কারখানার চাকরি করে আসছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘরের লোহার দরজা কেটে ভেতরে ঢুকে সোনালীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকেই সোনালীর স্বামী পলাতক রয়েছেন।
ঘটনার খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গফরগাঁও সার্কেল) আফরোজা নাজনীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনাগুলো কি কারণে ঘটেছে তা তদন্ত করে বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে তিনি জানান।
ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির জানান, স্বামী স্ত্রীসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা অ্যাডভান্স ও ক্রাউন কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন। পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা বলেন।