প্রকাশিত হয়েছেঃ ডিসেম্বর ৫, ২০২৪ সময়ঃ ৪:৫৭ অপরাহ্ণ

Spread the love

ভালুকা (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা।।
ময়মনসিংহের ভালুকা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দুলাল কুন্ডুর বিরুদ্ধে বিরোধপূর্ণ জমির ধান বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার সকালে উপজেলার বিরুনীয়া ইউনিয়নের গোয়ারী নন্দীবাড়ি এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নন্দীবাড়ি এলাকার একটি জমি নিয়ে বুলবুল ও শাহিদের মধ্যে ৫ কাঠা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। ওই ব্যাপারে আদালতে মামলা চলমান আছে। কিছুদিন পূর্বে বুলবুল গং ওই জমিতে আমন ধান রোপণ করেন। ক্ষেতের ধান পাকলে শাহিদ কয়েকজনকে সাথে নিয়ে কেটে ফেলেন। পরে বুলবুল ও তার বোন লিলি আক্তার থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ গিয়ে বাঁধা দেন এবং মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দুলাল কুন্ডু ধানগুলো বিক্রি করে দেন। পরে বিক্রছকৃত ১৫ হাজার টাকা স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুল হকের কাছে জমা রেখে আসেন। জানা যায়, এই জমিতে যে ধান হয় তা খড়সহ বিক্রি করলে প্রায় ২৫ হাজার টাকা হওয়ার কথা। কিন্তু এসআই দুলাল কুন্ডু মাত্র ১৫ হাজার টাকায় সব বিক্রি করে দিয়েছেন।
ইউপি সদস্য আজিজুল হক জানান, বুলবুল তার জমিতে ধান রোপণ করেছিলো। পরে শাহিদ ধান কেটে ফেলে। বুলবুল থানায় অভিযোগ করলে এসআই দুলাল কুন্ডু এসে ধান বিক্রি করে আমার জিম্মায় ১৫ হাজার টাকা রেখে গেছে।
নাম প্রকাশ না করার সর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান, শাহিদ দীর্ঘদিন ধরে ওই জমিতে চাষবাস করছে। বছরখানেক আগে বুলবুলরা বাঁধা দেয়। তাদের পৈতৃক সম্পত্তি বলে অভিযোগ করে আদালতে মামলা করেন।
বুলবুলের বোন লিলি আক্তার জানান, এই জমি আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি। স্থানীয় সালিশে কাগজপত্র দেখে আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছে। থানায় সালিশ ডাকলে সেখানেও কাগজমুলে আমাদের পক্ষে রায় দেয়া হয়। তারা কিভাবে দশ বছর এই জমি ভোগ করলো আমরা কেউ জানি না। কয়দিন আগে আমরা ধান রোপণ করি। আমার বাবা পরিচর্চা করেন। এখন তারা ধান কাটে ফেলেছে। পরে থানায় গেলে পুলিশ এসে বাঁধা দেয় এবং পুলিশ এসে ধান বিক্রি করে মেম্বারের কাছে ধান বিক্রির টাকা রেখে গেছে।
এ বিষয়ে শাহিদ জানান, এই জমি তার বাপ-দাদাদের র্দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখলে আছে। ওই সূত্রে এই জমির মালিক তারা।
আদালতে মামলা চলমান থাকা বিরোধপূর্ণ জমির ধান বিক্রি করতে পারেন কিনা এই বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই দুলাল কুন্ডু জানান, তিনি ধান বিক্রি করেননি। অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি ঘটনাস্থলে যান এবং ইউপি সদস্য আজিজুলের জিম্মায় ধানগুলো দিয়ে আসেন।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com