প্রকাশিত হয়েছেঃ নভেম্বর ৩০, ২০২৪ সময়ঃ ৫:৫৬ অপরাহ্ণ
আসাদুজ্জামান ভালুকা (ময়মনসিংহ)।।
ময়মনসিংহের ভালুকায় শ্বশুর বাড়িতে অন্তসত্তা স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর গলায় ওড়না পেচিয়ে স্বামীর আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাতে উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের পালগাঁও গ্রামে। রাতেই লাশ দু’টি উদ্ধার করে শনিবার সকালে মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বর্তা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে অটোচালক কামরুল ইসলামের সাথে (৩৫) বেশ কয়েক বছর আগে পালগাঁও গ্রামের মুক্তার হোসেনের মেয়ে রতœা আক্তারের (৩০) বিয়ে হয়। বিবাহিত জীবনের তাদের ঘরে রিফাদ নামে পাঁচ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এদিকে রতœা আক্তার আবারো নয় মাসের অন্তসত্তা হওয়ায় সন্তান প্রসবের জন্য গত শুক্রবার দুপুরে কামরুলের শ^াশুরী মনোয়ারা বেগম মেয়ে রতœাকে নিতে আসেন। ওই সময় কামরুল প্রথমে স্ত্রীকে দিতে শ^শুর বাড়ি যেে বারণ করলেও পরে কামরুল দুপুরেই স্ত্রী, শিশু ছেলে ও তার শ^াশুরীকে নিজের অটোরিকশা দিয়ে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে চলে আসেন। সন্ধার পর কামরুল তার শ^শুর বাড়িতে যান এবং রাতের খাওয়া দাওয়া করেন। শ^শুর বাড়িতে একটি মাত্র ঘর থাকায় শিশু ছেলেকে নিয়ে শ^াশুরী পাশের একটি বাড়ি ঘুমাতে যান এবং কামরুল তার স্ত্রীকে নিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমাতে যান। রাত দশটার দিকে ছেলে কান্নাকাটি শুরু করলে নানী মনোয়ারা বেগম ওই ঘরে গিয়ে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় এবং আশপাশের লোকদেও জানান। পরে দরজা ভেঙে ঘরের মেঝেতে রতœার রক্তাত মরদেহ ও গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় কামরুলের মরদেহ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে রাতেই ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার কওে পুলিশ।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সামছুল হুদা খান বলেন, স্বামী স্ত্রীর লাশ দু’টি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে এমন হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্তে কাজ করছে পুলিশ।