প্রকাশিত হয়েছেঃ এপ্রিল ৪, ২০২৪ সময়ঃ ২:৪৩ অপরাহ্ণ

Spread the love

মুহাম্মদুল্লাহ সখীপুর (টাঙ্গাইল) থেকে।।

টাঙ্গাইলের সখীপুরে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ গ্রাহকেরা। বিশেষ করে ইরি-বোরো মৌসুমে ধানখেতের সেচ নিয়ে কৃষকদের মাথায় দুশ্চিন্তা চেপে বসেছে। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। কবে নাগাদ এর সমাধান হবে তাও বলতে পারছে কেউ।

রোববার উপজেলার পিডিবির (বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড) নলুয়া সাবস্টেশনের অধীনে প্রতিমা বংকী এলাকায় সাহরির সময় (৪ টা) থেকেই বিদ্যুতের দেখা নেই। সকাল সাড়ে ১০টায় এক মিনিটে চারবার বিদ্যুৎ আসে কিন্তু কোনোবারই এক সেকেন্ডের বেশি স্থায়ী হয়নি। এরপর রিপোর্ট লেখা অবস্থায় ১০টা ৪৮ মিনিটে এক সেকেন্ডের জন্য একবার, ১১টা ৪৫ মিনিটে একবার, ১১টা ৫৫ মিনিটে একবার ও ১১টা ৫৭ মিনিটে একবার এক সেকেন্ড করে বিদ্যুতের দেখা পেয়েছে সংশ্লিষ্ট ফিডারের গ্রাহকেরা।

এই হিসাবে নলুয়া, বোয়ালী, কালিদাস, কালমেঘা, লাঙ্গুলিয়াসহ উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের গ্রাহকেরা সাহরির শেষ সময় থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৮ ঘণ্টায় বিদ্যুৎ সেবা পেয়েছে সাতবারে মাত্র ৭ সেকেন্ড।

স্থানীয় বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পৌর শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও গ্রাম পর্যায়ে আরও খারাপ অবস্থা। অধিকাংশ সময়েই চলে লোডশেডিং, দিন-রাত চলে বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার খেলা।
স্থানীয় কৃষি বিভাগের মতে, দিনে গরম রাতে শীত এমন আবহাওয়ায় ধানে ব্লাস্ট ছত্রাক আক্রান্তের সম্ভাবনা বেশি থাকে। এ সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে জমিতে প্রচুর পানি ধরে রাখতে হবে, এর জন্য প্রয়োজন নিয়মিত সেচ।
কৃষকেরা জানান, বিদ্যুতের ঘনঘন আসা-যাওয়ায় সেচ মেশিন চালু করতে পারি না। এক মিনিটে তিন-চারবার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে। দিনের তাপমাত্রা বেশি হলে এই লুকোচুরি খেলা চরম আকার ধারণ করে। এ অবস্থা নিয়মিত থাকলে ধানখেত রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
উপজেলার নলুয়া গ্রামের বিদ্যুৎ গ্রাহক সবুজ আল মামুন বলেন, ‘রমজান মাসের শুরু থেকেই আমরা বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের কবলে পড়েছি। এমনকি ইফতার-সাহরির সময়ও নিয়মিত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার হচ্ছি। বিষয়টি এখন চরম আকার ধারণ করেছে। দিনের বেলায় বিদ্যুৎ পাই না বললেই চলে।’

পিডিবির নলুয়া সাবস্টেশনে কালিদাস ফিডারের লাইনম্যান সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমার ফিডারে প্রায় পাঁচ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগে। কিন্তু আমাকে সীমা বেঁধে দেওয়া হয় ২ থেকে ৩ মেগাওয়াট। এ জন্য লোডশেডিং দিতে হয়। তবে আজকের (রোববার) সমস্যাটি বাতাসে বিদ্যুৎ লাইনে গাছ পড়ার কারণে হয়েছে।’

এ বিষয়ে পিডিবির (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) সখীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর তালুকদার বলেন, ‘লোডশেডিং আমাদের যেভাবে দিতে বলে সেভাবেই তালিকা করে দিচ্ছি। আমাদের ২২ মেগাওয়াটের মতো চাহিদা। জাতীয় গ্রিড থেকে আমাদের ঘণ্টায় ঘণ্টায় নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই হিসেবে অনেক সময় মোট চাহিদার ৩০ শতাংশের মতো লোড কমাতে বলে।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com