প্রকাশিত হয়েছেঃ জুলাই ২৭, ২০২২ সময়ঃ ১:৫৯ অপরাহ্ণ
মোঃ জাকির হোসেন, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি।।

ময়মনসিংহে তারাকান্দায় ‘ফিড দ্যা ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর ফিস’ এর স্পাম ব্যাংক প্রকল্পে কার্প জাতীয় মাছের জিন উন্নয়ন পরিদর্শন করেছেন। গত ২৪ জুলাই বিকালে তারাকান্দার নলদিঘী সততা মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র ও ফিসারী স্পাম ব্যাংক প্রকল্প পরিদর্শন করেন ইউএসএআইডি এর প্রতিনিধি দল।
টেকনিক্যাল সেশনে স্পার্ম ব্যাংক প্রকল্পে কার্প জাতীয় মাছের জিন উন্নয়নের মাধ্যমে উক্ত মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে। জাতিসংঘের ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে বাংলাদেশে পরিচালিত গবেষনা প্রকল্পের প্রধান গবেষক বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার বলেন, এ গবেষণার মাধ্যমে মাছের জাত উন্নয়ন করা। এক্ষেত্রে গরুতে যেভাবে ফ্রিজাপ করে স্পাম পরে ব্যবহার করা হয়। এখানে আমারা তেমনি সিলভার কার্প, মৃগেল, গ্রাসকার্প ভালো জাতের স্পাম নিয়ে পোনা তৈরি করেছি। এবং শফিকুল ইসলাম সাহেবের হ্যাচারি থেকে স্পাম নিয়ে পোনা উৎপাদন করেছি ।
পাশাপাশি পোনা রেখেছি। কোনটা ভালো গ্রোথ এক পর্যায়ে আমরা জেনেটিক এনালাইসিস করবো। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে ভাল জাতের ব্রুড তৈরি করা। শফিকুল ইসলাম সাহেবর মত আরো অনেক হ্যাচারি আছে। এটা যেন বাংলাদেশের ছড়িয়ে যায়। তার মাধ্যমে হবে কি ? এই যে এখন অনেক হ্যাচারীতে পোনার গুণগত মান ভালো না , ইনবিডিং সমস্যা আছে, এটার কারণে এ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। সেই উদ্দেশ্যে নিয়ে কাজ করছি। একটি ভালো জাতের ব্রুড ১০-১২ বছর ব্যবহার করা যায়। অনেক হ্যাচারি আছে তাদের ভালো জাতের ব্রুড নেই কিন্তু তারা পোনা উৎপাদন করে কমদামে বিক্রি করে দিচ্ছে। আবার অনেক হ্যাচারি আছে ভালো জাতের ব্রুড থাকার পরও পোনার দাম পাচ্ছে না। এটা একটা বড় সমস্যা। আমরা আশা করি শফিকুল ইসলাম সাহেব এ পদ্ধতি ব্যবহার করে ভালো জাতের ব্রুড তৈরি করবেন। আগামীতে ওনার দেখাদেখি আরও অনেকে এগিয়ে আসবেন। ওনার সুনাম অর্জন হবে। ভালো মানের পোনা পেলে লোকজন এগিয়ে আসবে।


তিনি আরো বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য একটাই স্পাম সংগ্রহ করে ভালো জাতের ব্রুড মাছ তৈরি করা। যেভাবে ব্রুড মাছ নষ্ট হচ্ছে। আমরা যেন ভালো মানের ব্রুড তৈরি করতে পারি। এতে উন্নত জাতের ব্রুড তৈরি হবে। গুণগত মানসম্পন্ন পোনা উৎপাদন হবে। চাষী সহজে লাভবান হবে।
সততা মৎস্য হ্যাচারির সত্ত্বাধিকারী শফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, তিনি ১৯৯৪ সালে কার্প জাতীয় মাছের পোনা উৎপাদনে মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠানের শুরু। পরবর্তীতে তিনি অনান্য মাছের পোনা উৎপাদনে বাংলাদেশকে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন কারিগরি সহযোগিতার মাধ্যমে সফলতা অর্জন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘসময় একই মাছ দিয়ে বারবার প্রজনন করলে অন্ত:প্রজনন সমস্যা হয়। এ সমস্যা সমাধানের জন্য ওনারা মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এতে উন্নত মানের পোনা উৎপাদন হবে। চাষিরা ভালো জাতের পোনা পাবেন। ইনব্রিডিং সমস্যা দূর হবে। চাষিরা লাভবান হবে।

‘ফিড দ্যা ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর ফিশ’ দারিদ্র বিমোচন, মৎস্যভিত্তিক পুষ্টি বৃদ্ধিকরণ খাদ্য নিরাপত্তা ও প্রান্তিক চাষীদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশে মৎস্যখাতের টেকসই উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন গবেষণা কর্মসূচি পরিচালনা করে যাচ্ছে।
মোট পড়া হয়েছে: ৪৫১