প্রকাশিত হয়েছেঃ ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪ সময়ঃ ৬:৩৪ অপরাহ্ণ

Spread the love

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি।।
ময়মনসিংহের ভালুকায় ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে উপজেলার মাস্টারবাড়ি এলাকায় শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে দু’পক্ষের মাঝে ধাওয়া পাল্ট ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় অন্তত ২০ জন আহত ও ১৪ টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়। হামলায় আহতদের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর সেনাবাহিনীর সদস্যরা অস্ত্রসহ ১৪ জনকে আটক করেছে।  এ ঘটনায় মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানায়।
পুুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্টের পর থেকে ভালুকা উপজেলার শিল্পঞ্চল হবিরবাড়ি এলাকায় দেড় শতাধিক কারখানার ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নেন প্রভাবশালী শহিদুল ইসলাম। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে জামিরদিয়া এলাকায় অবস্থিত রাইদাহ কালেকশন নামে একটি পোষাক কারখানার ঝুট জনৈক আব্দুল ওয়াদুদের পক্ষে স্থানীয় সাইফুল ইসলাম ট্রাক ভর্তি করে বের করতেছিলেন। এ সময় ওই প্রভাবশালী ব্যক্তির নির্দেশে স্থানীয় রাসেল মন্ডল, শাহজাহান, ইকবাল, ইসমাইল, গাজা,মাসুদ, সোহাগ, সুজন, মান্নান, লিখন, মিন্টুসহ দুই শতাধিক লোক দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ট্রাক ছিনতাইয়ের জন্য হামলা চালায়।

এ সময় জিয়া ও সাইফুলের পক্ষের লোকজন বাঁধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে মজিবর রহমান (৪৭), শহিদ (৩৮), ফারুক (৩৫), সাকিব (৩০), নাইম (২৪), ইমসাইল (৫৫), সাহিন (৩৮), মোস্তফা (৪৪), নুর ইসলাম (৩৪), সুজন (৩২) আনোয়ার (৩০) আহত হন। আহতদের মাঝে মজিবর, নুর ইসলাম ও সুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং অন্যান্যদের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুণ নিয়নন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় জিয়াসহ আরো অনেকেই জানান, শহিদুল ইসলাম তার ছেলে মামুন ও ভাই আতিকের নির্দেশে ঝুটভর্তি ট্রাক ছিনতাই চেষ্টা করছিলো। তাছাড়া ওই শহীদের নির্দেশে গ্রæপটি গত ১৫ অক্টোবর ও ১১ নভেম্বর দুই দফা হামলা করে ঝুটের ট্রাক ছিনতাই করার চেষ্টা করেছিলো। তার অধিনে ওই হবিরবাড়ি এলাকায় ১৩৫ টির মতো কারখানা দখলে রয়েছে এবং তার আত্মীয় স্বজনরা ওই সকল কারখানার ঝুট ব্যবসা করছেন। এসব ঘটনায় এলাকায় যেকোন সময় আরো বড় ধরণের ঘটনা ঘটতে পারে। এলাকায় বর্তমানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
অভিযুক্ত রাসেল মন্ডল জানান, সংঘর্ষের সময় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে থাকা বেশ কিছু মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। ঝুট ব্যবসা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই দু’পক্ষের মাঝে দ্ব›দ্ব চলছিলো।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামছুল হুদা খান জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনী, থানা ও শিল্পপুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে, মামলা প্রক্রিয়াধিন। সেনাবাহিনীর সদস্যগণ দেশিয়সহ ১৪ জনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে।

সেনাবাহিনীর মেজর নোমান মুন্সী সংবাদ মাধ্যমকে জানায়, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে কোকাকোলা ফ্যাক্টরীর সামনে থেকে দেশিয় অস্ত্রসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। যাচাই বাছাই করে প্রকৃত অপরাধিদের রেখে বাকিদের ছেড়ে দেয়া হবে।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com