প্রকাশিত হয়েছেঃ নভেম্বর ৯, ২০২২ সময়ঃ ৪:১০ অপরাহ্ণ

ত্রিশাল থেকে স্টাফ রিপোর্টার জহিরুল কাদের কবীর।।
ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন মহাসড়ক। প্রতিনিয়তই মহাসড়কটির ত্রিশাল অংশে ঘটে ছোট-বড় বহু দুর্ঘটনা। প্রাণহানির ঘটনাও নেহাত কম নয়। এরই মধ্যে রাতের আঁধারে সড়কের মাঝখান থেকে অবৈধভাবে কেটে নেওয়া হচ্ছে ডিভাইডার। কাটা ডিভাইডারে পার হচ্ছে অটোরিক্সা, মোটরসাইকেল, সিএনজিসহ ছোট যানবাহন। এতে মহাসড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনা। সঙ্গে বেড়ে চলেছে প্রাণের ঝুঁকি।
মহাসড়কটির ত্রিশাল অংশে প্রতিনিয়তই ঘটে থাকে দুর্ঘটনা। সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অন্তঃসত্ত্বা এক নারী সড়কেই সন্তন প্রসব করেন। সারা দেশে আলোচিত হয় ঘটনাটি। গত এক বছরে এই মহাসড়কে দুর্ঘটনায় ঝরে গেছে অর্ধশতাধিক প্রাণ। একের পর এক দুর্ঘটনায় নড়চড়ে বসে প্রশাসন। মহাসড়কে বন্ধ করা হয় অবৈধ থ্রি হুইলার। চার লেন সড়কের বেশিরভাগ কাটা ডিভাইডার ইটের মাধ্যমে দেয়াল তুলে বন্ধ করে দেয় সড়ক বিভাগ। দেয়াল তুলে বন্ধ করার পরও কে বা কারা রাতের অন্ধকারে অবৈধভাবে সেই ডিভাইডারগুলো আবার কেটে ফেলছেন। এতে সড়ক পারাপার হতে গিয়ে বিভিন্ন সময় ঘটছে দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কের ত্রিশাল অংশে বিভিন্ন স্থানে ডিভাইডার কেটে তৈরি করা হয়েছে সড়ক পারাপারের ব্যবস্থা। সড়ক বিভাগ এসব কাটা ডিভাইডার বন্ধ করে দিলেও কয়েক দিনের মধ্যেই রাতের আঁধারে আবারও সেগুলো কেটে ফেলছে অজ্ঞাত একটি চক্র। অবৈধভাবে কেটে ফেলা এসব অংশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই সড়ক পারাপার হচ্ছে সিএনজি, অটোরিক্সা, মোটরসাইকেলসহ অনেক যানবাহন। এতে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। মহাসড়কে চলাচলকারী দ্রুতগতির পরিবহনের সামনে হঠাৎ চলে আসে পার হতে যাওয়া ছোট যানবাহনগুলো। মুহূর্তেই দুই গাড়ির সংঘর্ষে ঘটে দুর্ঘটনা। সড়কে ঝরে পড়ে তাজা প্রাণ।
স্থানীয় অনেকেই জানান, মহাসড়কে চলাচলকারী ছোট পরিবহনগুলো ইউটার্ন করতে গেলে অনেক পথ যেতে হয়। অনেকেই নিজেদের প্রয়োজনে রাতের আঁধারে ইট দিয়ে বন্ধ ডিভাইডার কাটছেন। অনেকবারই সেসব বন্ধ করেছে সড়ক বিভাগ। কিন্তু বন্ধ করার কয়েক দিন পর দেখা যায় ডিভাইডারগুলো আবারও উধাও। হয় কয়েক দিন পর গাড়ি দিয়ে ভেঙে ফেলেছেন, না-হয় রাতের আঁধারে ইট খুলে নিয়ে গেছেন। প্রথমে ছোট গাড়ি পারাপারের রাস্তা করা হলেও তা আস্তে আস্তে ভেঙে ভেঙে বড় হয়। এসব ভাঙা ডিভাইডারে পারাপারের সময় বড় গাড়িও না দেখে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে দুর্ঘটনাও বেশি ঘটে। ইট দিয়ে বন্ধ করে বেশিদিন রক্ষা করা যাচ্ছে না ডিভাইডারগুলো। তাই ডিভাইডারের কাটা অংশগুলো ঢালাইয়ের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে বন্ধ করা গেলে আর কাটতে পারবে না কেউ। এতে কমে আসবে দুর্ঘটনাও।

এ ব্যাপারে ময়মনসিংহের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘মহাসড়কটির ত্রিশাল অংশে দুর্ঘটনা রোধে ডিভাইডারের কাটা অংশগুলো অনেকবারই বন্ধ করা হয়েছে। আমরা পুনরায় এগুলো বন্ধের ব্যবস্থা করব। ইটের দেয়াল ভেঙে ফেলার কারণে স্থায়ীভাবে ঢালাই করে ভরাট করে দেব, যাতে সহজেই এটা কেউ ভেঙে ফেলতে না পারে।’

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com