প্রকাশিত হয়েছেঃ জুলাই ১৭, ২০২৫ সময়ঃ ২:২৭ অপরাহ্ণ

Spread the love

রফিকুল ইসলাম খান, গফরগাঁও প্রতিনিধি।।

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে শিশু শিক্ষার্থীকে (৯) ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মোঃ এমদাদ (৩০) নামে এক মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে শিক্ষার্থীর মা ছালমা আক্তার বাদী হয়ে গফরগাঁও থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ এমদাদ উপজেলার যশরা ইউনিয়নের দৌলতপুরৌ গ্রামের মৃত শামছুদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় পর থেকেই অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ এমদাদ পলাতক রয়েছে।

থানায় মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার যশরা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের তাফসিরুল কোরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ঐ শিশু আরবি শিখতো। গত ১১ জুলাই, শনিবার সকালে শিশুটির মা শিশুটিকে মাদ্রাসায় দিয়ে আসার পর অভিযুক্ত শিক্ষক এমদাদ বারান্দার একটি কক্ষে নিয়ে শিশুকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ঘটনার সময় শিশুটি ডাক চিৎকার শুরু করলে শিক্ষক এমদাদ পালিয়ে যায়। পরে শিশুটি ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বাড়ি ফিরে ঘটনাটি তার মা’কে জানায়। এদিকে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর একটি পক্ষ ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ততক্ষণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়ে সমালোচনা শুরু হয়ে যায়।
শিশুটির মা ছালমা আক্তার বলেন, আমার ছোট্ট মেয়েকে কোরআন শরীফ শিখানোর জন্য মাদরাসায় দিয়েছিলাম। শিক্ষক নামে বদমাইশ এমদাদ হুজুর আমার মেয়েটির সর্বনাশ করেছে।
গফরগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আব্দুর রহিম সরকার বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।শিশুটিকে জবানবন্দির জন্য আদালতের প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক রয়েছে বলেও জানান ওসি।

এদিকে একটি কুচক্রী মহল অভিযুক্ত মোঃ এমদাদকে স্থানীয় জামায়াত নেতা বলে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে অভিযোগ উঠেছে। যা নজরে আসায় পর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান গফরগাঁও উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা ইসমাইল হোসেন সোহেল সহ জামায়াত নেতৃবৃন্দ। তিনি বলেন, অভিযুক্ত এমদাদের সঙ্গে জামায়াতের ন্যূনতম সম্পর্ক নেই এবং ভবিষ্যতেও থাকবে না।
#####

 

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com