প্রকাশিত হয়েছেঃ মে ১৭, ২০২৫ সময়ঃ ৪:০৭ অপরাহ্ণ

Spread the love

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি।।
ময়মনসিংহের ভালুকায় এসএ খতিয়ান জালিয়াতির মাধ্যমে নামজারি ও জমা খারিজ করে জমি দখলে নেয়ার  অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশলী আব্দুস সাত্তার মাস্টার ও জিয়াউর রহমান গংয়ের বিরুদ্ধে। রেকর্ডীয় খতিয়ানে মালিক চারজন থাকলেও নামজারিতে তিনজন দেখানো হয়। এ ঘটনায় ভূক্তভোগীরা নামজারি বাতিলের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) আদালতে মিস মোকদ্দমা দায়ের করলে রেকর্ডীয় মালিক চারজনের সত্যতা কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। ঘটনাটি উপজেলার স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায়।
জানা যায়, উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়ন জামিরদিয়া মৌজায় এসএ রেকর্ড ১০৩ নম্বর খতিয়ানে ১৪১, ১৪২, ১৫০ ও ৪৮ নম্বর দাগে তাহের উদ্দিন, কাজিম উদ্দিন, হালিম উদ্দিন উভয় পিতা আছিম উদ্দিন এবং আব্দুল গনী পিতা ফজর আলীর নামে ৭ একর ৬৪ শতাংশ জমি রেকর্ডভূক্ত হয়। উক্ত এসএ ১০৩ নম্বর খতিয়ানে রেকর্ডীয় মালিক চারজন থাকলেও আব্দুস ছাত্তার মাস্টার ও জিয়াউর রহমান গং জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে রেকর্ডীয় মালিক হালিম উদ্দিনের নাম বাদ দিয়ে খতিয়ানের তিনজনকে মালিক উল্লেখ করে হারাহারি অংশ মোতাবেক প্রাপ্য জমি উক্ত এসএ খতিয়নের ওয়ারিশান দাবী করে মোঃ মিজানুর রহমান, মতিউর রহমান, আব্দুল আলী, জিয়াউর রহমান, আব্দুস ছাত্তার মাস্টার, কমলা খাতুন, রহিমা খাতুন নামজারী জমা খারিজ করে নেন। এমনকি উক্ত জমি জবর দখলে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে ভোগ দখল করে আসছেন। এ ঘটনায় এসএ খতিয়ানের আরেক মালিক তাহের উদ্দিনের ছেলে মোঃ মফিজ উদ্দিন বাদি হয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে করে নেয়া ওই জমির জমাখারিজ সমুহ বাতিল করে মুল হোল্ডিং ও খতিয়ানে ফেরত নেয়ার জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র আদালতে মিস মোকদ্দমা ১০৭৫ (ীররর) দায়ের করেছেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিস মোকদ্দমা আমলে নিয়ে হবিরবাড়ি ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পরে এ বিষয়ে ভূমি অফিসের রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে রেকর্ডীয় মালিক চারজনের বিষয়ে সত্যতা পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর মিস মোকদ্দমাটির প্রতিবেদন দাখিল করেন হবিরবাড়ি ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আশরাফুল আলম।
ভোক্তভোগী পরিবার জানান, উপজেলার জামিরদিয়া মৌজা এসএ ১০৩ খতিয়ানের রেকডীয় জমির মালিক তাহের উদ্দিন, কাজিম উদ্দিন, হালিম উদ্দিন এবং আব্দুল গনী নামে চারজন। তবে অভিযুক্তরা প্রকৃত মালিক হালিম উদ্দীনের নাম বাদ দিয়ে জাল খতিয়ান তৈরি করে তিনজন মালিক দেখিয়ে নামজারি করে জমি দখলে নেন।
হবিরবাড়ি ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, বিবাদী আব্দুস সাত্তার মাস্টার ও জিয়াউর রহমান গংয়ের দাখিলকৃত ১০৩ নম্বর খতিয়ানে তিনজন মালিকের নাম উল্লেখ রয়েছে তবে, ভূমি অফিসের রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ওই খতিয়ানে চারজন মালিক রয়েছেন এবং সে-মতেই প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে।
এসএ ১০৩ নম্বর খতিয়ানে চারজন মালিকের নাম রয়েছে বলে স্বীকার করে বিবাদী আব্দুস ছাত্তার মাস্টার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, যদি কাগজপত্র অনুযায়ী জমি না পান তবে, তাদের কোন আপত্তি নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, এই মামলাটি শুনানিধীন রয়েছে এবং কাগজপত্র পর্যলোচনা করে আইন মোতাবেক সঠিক রায় প্রদান করা হবে।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com