প্রকাশিত হয়েছেঃ ডিসেম্বর ১৮, ২০২১ সময়ঃ ৬:০০ অপরাহ্ণ

Spread the love

গাজীপুর থেকে নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গাজীপুরে অটোরিকশা চালক শরিফুল ইসলাম (২০) হত্যাকান্ডের ক্লু উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিবিআই। গত ১০ ডিসেম্বর সরকারি গজারি বনের ভেতর থেকে শরিফুল ইসলামের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। হত্যাকান্ডের এক সপ্তাহের মধ্যেই পিবিবিআই পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনায় জড়িত ৬জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে দুই জন ইতিমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্ধীতে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার এবং অন্যান্য আসামীর নামও প্রকাশ করেছে। আসামী রাজিবের পছন্দের বিয়াইনকে (বোনের ননদ) প্রেম করে বিবাহ করায় শরিফুলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় বলে জেলা পিবিআই পুলিশ শনিবার এক প্রেসব্রিফিংয়ে জানায়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার হিজুলিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে শফিকুল ইসলাম ওরফে জামাই শফিকুল (২৫)। সে শ্রীপুর উপজেলার বনখড়িয়া গ্রামে শ্বশুর আব্দুল বাসেতের বাড়িতে ঘরজামাই থাকতো। শ্রীপুর উপজেলার বনখড়িয়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে আফ্রিদি (১৯)। জয়দেবপুর থানার বাউপাড়ার নিয়ত আলীর ছেলে রাকিব হোসেন (২২)। জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার দর্জিপাড়ার হাসানের ছেলে রাজিব শেখ (২২)। সে বর্তমানে জয়দেবপুরের ভাওয়াল মিজার্পুর ইব্রাহিম এর বাড়ির ভাড়াটিয়া। ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর থানার মিছিটেঙ্গী গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে জুয়েল রানা (২৭)। সে বর্তমানে গাজীপুর সদর থানার ভিমবাজার শিকদার বাড়িতে ভাড়া থাকতো। জেলার শ্রীপুর বনখড়িয়া উত্তর পাড়ার শাহাজ উদ্দিনের ছেলে হানিফ (২৭)।
পিবিআই গাজীপুর ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, জয়দেবপুর থানাধীন ভাওয়াল মির্জাপুর গ্রামের মঞ্জুুরুলের মেয়ে কারিমাকে শরিফুল গোপনে বিবাহ করেন। কারিমার পরিবার প্রথমে এ বিবাহ মেনে নেননি। অবশেষে গত ১০ ডিসেম্বর কারিমাকে অনুষ্ঠানিকভাবেই শরিফুলের হাতে তুলে দিতে রাজি হয় তার পরিবার। কিন্তু কারিমার বড় ভাই খোরশেদ আলমের শ্যালক আসামী রাজিব আগে থেকেই কারিমাকে পছন্দ করতেন। অপরদিকে কারিমার দুই বড় ভগ্নিপতি আসামী রাকিব হোসেন ও জুয়েল রানাও কারিমার বিবাহটি মেনে নিতে পারেননি। ফলে কারিমার এই দুই ভন্নিপতি রাজিবের সাথে যোগসাজসে শরিফুলকে অর্থের বিনিময়ে হত্যার পরিকল্পনা নেয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী বিবাহের আনুষ্ঠানিকতার একদিন আগে শরিফুলের ঘনিষ্ট বন্ধু আছমত ওরফে তারেকের মাধ্যমে শরিফুলকে ঘটনাস্থলে ডেকে নেয়া হয়। সেখানে সব বন্ধু সিগারেট ও গাজা সেবনের একপর্যায়ে শরিফুলকে চেপে ধরে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করে।
উল্লেখ্য, গত ১০ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টায় বনখড়িয়া বাজার হতে রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টমেন্ট বিপসট গেইটগামী (চেকপোষ্ট-১) রাস্তার মাঝামাঝি জায়গা হতে রাস্তার ডান দিকে প্রায় ৫০০ গজ ভেতরে সরকারি গজারি বনের ভেতর থেকে অটোরিকশা চালক শরিফুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই সেকান্দার একই দিন অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় মামলা (নং-১৮) রুজু করেন। পিবিআই ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার. বিপিএম (বার), পিপিএম এর তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় পিবিআই গাজীপুর ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এর সার্বিক সহযোগিতায় মামলাটি তদন্ত করেন জেলা পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান।
#

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com