প্রকাশিত হয়েছেঃ ডিসেম্বর ১১, ২০২১ সময়ঃ ৬:৪৮ পূর্বাহ্ণ
মোঃ জাকির হোসেন, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি।।

প্রেমের টানে প্রেমিকের হাত ধরে তুরস্ক থেকে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় তরুণ হুমায়ুন কবিরের বাড়িতে ছুটে এসেছেন তুরস্কের সুন্দরী তরুণী আয়েশা ওজতেকিন। পরে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন, তুর্কি কন্যা ও হুমায়ুন কবির।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে মুক্তাগাছা পৌর এলাকায় অনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে আয়েশা-হুমায়ুনের বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়।
হুমায়ুন কবির ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা পৌর এলাকার হাসান আলী ও হোসনে আরা দম্পতির ছেলে। আর আয়েশা ওজতেকিন তুরস্কের আনতালিয়া শহরের মাহমুদ ওজতেকিন ও সেফদা ওজতেকিন দম্পতির মেয়ে।
জানা গেছে, ময়মনসিংহ মুক্তাগাছার ছেলে হুমায়ুন রংপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে এইচএসসি শেষ করে ২০১০ সালে স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যান তুরস্কে। আনকারা শহরের হাজেত্তেপে ইউনিভার্সিটিতে মেডিসিন বিভাগে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন তিনি। পরে ২০১৮ সাল থেকে আনতালিয়া শহরের লাইফ হসপিটালে শুরু হয় তার কর্মজীবন। ওই হাসপাতালের প্রধান হিসাবরক্ষক ছিলেন তুর্কি তরুণী আয়েশা ওজতেকিন। সেই চাকরির সুবাদে পরিচয় দুজনের।
পরিচয় থেকেই কাছে আসেন এবং সেই থেকেই আস্তে আস্তে প্রেম এবং অবশেষে বিয়ে।
দুই পরিবারের সম্মতিতেই জীবন সঙ্গী করে নেন একে অপরকে।
হুমায়ুন কবির বলেন,বাবা প্রথমে রাজি না থাকলেও মা তাকে খুব পছন্দ করেছিলেন। পরে বাবাও রাজি হয়েছেন। অবশেষে আমরা সারাজীবনের জন্য এক হতে পেরেছি। বাংলাদেশে এসে খুব সহজেই নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন। এ ছাড়া সবার সঙ্গে সহজেই তিনি মিশতেও পারেন। এরই মধ্যে তিনি বাবা-মায়ের মন জয় করে নিয়েছেন।
তুর্কি কন্যা আয়েশা ওজতেকিন বলেন,প্রথমে বাবা রাজি ছিলেন না। পরে মা বাবাকে রাজি করিয়েছেন। আমার মা অনেক বছর দেশের বাইরে থাকায় অন্যদেশের মানুষের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কোনো সমস্যা হয়নি। হুমায়ুনকে দেখার পর আমার মা-বাবা দুজনেরই পছন্দ হয়। তাই তারা এ সম্পর্ক মেনে নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, প্রথমত বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় অনেক নরম। তাদের মাঝে ভালোবাসাটা একটু বেশি, অনেক আবেগী তারা। এ কারণে আমি হুমায়ুনের প্রতি আকৃষ্ট হই। তার গুণ বলে শেষ করা যাবে না। আমি তাকে খুব ভালবাসি।