প্রকাশিত হয়েছেঃ ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪ সময়ঃ ৮:১৯ অপরাহ্ণ

Spread the love
আসাদুজ্জামান ভালুকা(ময়মনসিংহ)।।
ময়মনসিংহের ভালুকায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত স্কুল ছাত্র শাহ সাকিব আহমেদ (১৪) তিনমাস ৬ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা গেছে। গত ৯ নভেম্বর রাতে ইসলামী মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব বিরোধের জের ধরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলার সে গুরুতর আহত হয়েছিলো। এ ঘটনায় মডেল থানায় মামলা হলে পুলিশ নাহিদ নামে এক কিশোরকে গ্রেফতার করে।
মামলা, আহত শাকিবের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভালুকা উপজেলার উথুরা গ্রামের শাহ মো: আল মুজাহিদ বুলবুলের ছেলে উথুরা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র শাহ সাকিব আহমদের সাথে একদল কিশোরের বিরোধ চলে আস ছিলো। ঘটনার দিন গত ৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় শাকিব উপজেলার খোলাবাড়ি  গ্রামের আবদুল খালেকের বাড়ি সংলগ্ন ইসলামী ওয়াজ মাহফিলে যায়। কিছুক্ষণ ওয়াজ শুনার পর সে বাড়ি চলে যাওয়ার পথে পূর্ব থেকে ও্যঁৎ পেতে থাকা একদল কিশোর তার পথরোধ করে। এ সময় দা ও লাঠি দিয়ে শাকিবের মাথা ও শরীরসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে আহত অবস্থায় তাকে রাস্তায় ফেলে যায়। খোঁজ পেয়ে পরিবার ও স্থানীয় লোকজন শাকিবকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু শাকিবের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ডাক্তার তাঁকে ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে রেফার করেন।  হাসপাতাল থেকে ২৬ ডিসেম্বর ছুটি দিলে সাকিবকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু গত ১৪ ফেব্রæয়ারী সে আবারো অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে সাকিবের অবস্থার অবনতি হলে, তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ১৫ ফেব্রæয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুরে সে মারা যায়।
ওই ঘটনায় আহত সাকিবের চাচা শাহ মো: আল ফারুক সবুজ  বাদি হয়ে পাশের খোলাবাড়ি গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে সাব্বির হোসেন (১৬), মন্তু মিয়ার ছেলে নাহিদ (১৫), খোরশেদ আলমের  ছেলে শরিফ মিয়া (১৭), আতিকুল ইসলামের ছেলে মোশারফ হোসেন (১৬), শহিদ মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (১৬), মেঞ্জেনা গ্রামের আবু ইফসুফের ছেলে শান্ত মিয়া (১৭) এবং ফুলবাড়িয়া উপজেলার মহেশপুরের রিফাত (১৬) ও অজ্ঞাতনামীয় ৫-৭ জনকে আসামি করে ভালুকা মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলার বাদি শাহ মো: আল ফারুক সবুজ জানান, তার ভাতিজা সাকিব ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ১৪ দিনেও তার জ্ঞান ফিরেনি। তিনি ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের অবিলম্বে  গ্রেফতারের দাবি জানান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভালুকা মডেল থানার এসআই নজরুল ইসলাম জানান, সাকিবকে গত ২৬ ডিসেম্বর হাসপাতাল থেকে রিলিজ দিলে তাকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়েছিলো । কিন্তু পূণরায় তার শ^াসকষ্ট দেখা দিলে হাসপাতালে নেয়ার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে সে মারা যায়। তিনি বলেণ, ওই ঘটনায় হত্যা চেষ্টা মামলায় পূর্বেই নাহিত নামে এক কিশোরকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছিলো। সাকিবের ময়নাতদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তি আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com