প্রকাশিত হয়েছেঃ সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩ সময়ঃ ৭:৩২ অপরাহ্ণ

জালালুর রহমান, (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি।।

সিলেট বনবিভাগের  লাঠিটিলা রিজার্ভ ফরেস্ট জুড়ী রেঞ্জের হলদি নামক স্থান। সুরমা বাঁশ মহাল (সুরমা ছড়া) এলাকায় অবৈধভাবে আনুমানিক ১৩ হেক্টর (বনভূমি) টিলা ও ডুবা দখল করে গড়ে উঠেছে ফিশারি ও আদা লেবুর বাগান।

জানা গেছে, বেশ কয়েক বৎসর থেকে অবৈধ ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করে জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নের  শুকনা ছড়া গ্রামের মৃত জফুর আলীর ছেলে রইছ উদ্দিন। তিনি লাঠিটিলা বিটের ভিলেজার এর দায়িত্বে আছেন। ফলে অবৈধ ভাবে আদা লেবুর বাগান ও ১০ টি ফিশারি করেছেন। শংকর নামক স্থানে আদা লেবুর বাগান ১ হেক্টর টিলাতে এবং একই স্থানের ডুবাতে  ফিশারি ২টি, সুতরায় ১টি, বাদশায় ১টি, লালটিং এলাকায় ৪টি, মরা লালটিং ২টি ফিশারি রয়েছে আনুমানিক ১২ হেক্টর বনভূমিতে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখি, লাঠিটিলা বিটের শতাধিক বৃক্ষের ক্ষতি হয়। মৎস্য খামার তৈরী হওয়ায় পানিতে ডুবে নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক ভাবে জন্মানো একাধিক গাছ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কথা হয়, রইছ উদ্দিন এর সাথে তিনি এ প্রতিবেদককে, সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন।

সম্প্রতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব হরণ করা হচ্ছে, এতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী কতৃক অভিযোগ পাওয়া গেছে, ঐ এলাকা অসংখ্য বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল। সুরমা বাঁশ মহাল এ সাতটি হাতি ছিলো চারটি হাতি বিলুপ্ত, তিনটি হাতি বিলুপ্তির পথে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা রহস্যজনক কারনে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী আলহাজ্ব শাহাব উদ্দিন এমপিকে বেকায়দায় ফেলতে এবং প্রশ্নবিদ্ধ করতে কিছু অসাধু চক্র পরিকল্পিত ভাবে দীর্ঘদিন যাবত  উঁচু উঁচু টিলার গাছ, বাঁশ, পাহার কেটে ধবংশের পাশাপাশি কয়েকশ গাছ মারা গেছে। নির্বাচনী এলাকায় প্রকাশ্যে বনের ভিতর এ ধরনের কর্মকান্ড ঘটতে থাকলে দেখার কেউ নেই।

৩০ হেক্টর বনভূমি দখল করেছে লাঠিটিলা বন এলাকার একাধিক ভিলেজার তৈরী হয়েছে আদা লেবুর বাগান ও ফিশারি। তারা বাঁশ ও জঙ্গল পরিষ্কার করার ফলে ধ্বংস হচ্ছে  বন্যপ্রাণীর আবাস্থাল বন্যপ্রাণী এখন হুমকির মুখে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে লাঠিটিলা বিট কর্মকর্তা মো: রুমিজ্জামান বলেন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া তিনি বক্তব্য দিতে পারেন না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জুড়ী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: আলাউদ্দিন জানান  ফিসারিগুলোর বান কেটে দিবেন তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, দুইটি ফিশারির বান কেটে দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সহকারী বন সংরক্ষক মো: মারুফ হোসেন বলেন  তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com