প্রকাশিত হয়েছেঃ অক্টোবর ৬, ২০২৫ সময়ঃ ৬:৪৭ অপরাহ্ণ
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় প্রতিপক্ষের হামলায় জামালউদ্দিন(৬২) নামের এক ইউপি সদস্য নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযান চালিয়ে দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন-নলচাপড়া গ্রামের মৃত ইসমাঈল হোসেনের ছেলে কছিম উদ্দিন ওরফে নওয়াব আলী(৬২) এবং মৃত মিরাশ উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন(৫০)।
রোববার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার বানিহালা ইউনিয়নের নলচাপড়া দারুস সুন্নাহ আবাসিক কওমি মাদ্রাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জামালউদ্দিন তারাকান্দা উপজেলার বানিহালা ইউনিয়নের নলচাপড়া গ্রামের মৃত শহর আলীর পুত্র এবং বানিহালা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বানিহালা ইউনিয়নের নলচাপড়া দারুস সুন্নাহ আবাসিক কওমি মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থী নিজ মেয়েকে ভাত খাইয়ে ফেরত আসার সময় সন্ধ্যা ৭ টার দিকে মাদ্রাসাটির সামনে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন ও তার স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যান ইউপি সদস্য জামালউদ্দিন।
এ বিষয়ে নিহত জামাল উদ্দিনের ভাই সুজন মিয়া(৪৫) এবং নিজাম উদ্দিন (৫০) গণমাধ্যমকে বলেন-আমার ভাই ইউপি সদস্য। মাদ্রাসাটির সামনে সরকারি একটি পুকুরের পাড়ে দোকান স্থাপনকে কেন্দ্র করে ঝামেলা হয়েছিল। যা পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়। সরকারের লোকজন এসে দোকান সরিয়ে দেয়। সেই থেকে আমাদের সাথে বিরোধ চলছিল রতন গংদের। এই রতনই তার ভাইদের সাথে নিয়ে সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়। এ সময় ১০/১৫ জন লোক মিলে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে আমার ভাইকে গুরুতর জখম করে। পরে হাসপাতালে তিনি মারা যান। এই ঘটনায় আমার ভাতিজা সাকিবও আহত হয়। তাকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে রতনসহ অন্যান্যরা।
এ বিষয়ে তারাকান্দা থানা পুলিশের এসআই ও সেকেন্ড অফিসার লিটন চন্দ্র পাল বলেন-ইউপি সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় রাতে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

