প্রকাশিত হয়েছেঃ সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫ সময়ঃ ৫:২৯ অপরাহ্ণ
রফিকুল ইসলাম খান. গফরগাঁও প্রতিনিধি।।
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার ২০টি পূঁজা মণ্ডপে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় শারদীয় দুর্গাপূঁজা উৎসবের প্রস্তুতি চলছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, পৌর শহরের সনাতন যুব সংঘ সার্বজনীন দূর্গাপূঁজা মন্ডপসহ অন্যান্য মণ্ডপগুলোতে এই প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার গফরগাঁও থানার ৭ ইউনিয়নে ৬ টি, পাগলা থানার ৮ ইউনিয়নের ১১ টি ও পৌরসভায়ো ৩টি সহ মোট ২০টি পূঁজা মণ্ডপ স্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রতিমা নির্মাণ শেষ, রং এর কাজ বাকী, চলছে তোরণ নির্মাণের কাজও।
এবার গফরগাঁও উপজেলায় ২০টি পূঁজা মণ্ডপের মধ্যে পৌরসভায় ৩টি, যশরা ইউনিয়নে ২টি, রাওনা ইউনিয়নে ৩টি, গফরগাঁও ইউনিয়নে ১টি. পাইথল ইউনিয়নে ১টি, নিগুয়ারী ইউনিয়নে ৫টি, টাংগাব ইউনিয়নে ১টি, মশাখালী ইউনিয়নে ২টি, পাঁচবাগ ইউনিয়নে ১টি, উস্থি ইউনিয়নে ১টি পূঁজা মণ্ডপ রয়েছে।
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তৎপরতা শুরু করেছে গফরগাঁও উপজেলা প্রশাসন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময়, পূঁজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ইউএনও এন এম আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে প্রস্তুতিসভা করেছেন উপজেলা প্রশাসন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে চলেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
গফরগাঁও উপজেলার পূঁজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অনিল রায় ও সহ সাধারণ সম্পাদক মৃদুল সাহা চৌধুরী জানান, পূঁজার সব রকম প্রস্তুতি চলছে। সবকিছু মিলিয়ে ভাতৃত্ব ও পরলৌকিক মঙ্গলের আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকের বাদ্য মেতে উঠবে। উপজেলার হাজার হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। দেবী দুর্গার আগমনে দূর হবে সকল অশুভ শক্তি।
এ বিষয়ে গফরগাঁও অফিসার ইনচার্জ মোঃ বাচ্চু মিয়া ও পাগলা থানার অফিসার ইনচার্জ
মোঃ ফেরদৌস আলম বলেন, আমরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছি। পাশাপাশি বিট পুলিশের সদস্যরা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এছাড়াও পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক ও গ্রাম পুলিশ সদস্যরা ও প্রতিটি পূঁজা মণ্ডপে নিরাপত্তায় জোরদার রয়েছে।
###