প্রকাশিত হয়েছেঃ এপ্রিল ১৯, ২০২৫ সময়ঃ ৬:৫৪ অপরাহ্ণ

Spread the love

আসাদুজ্জামান ভালুকা (ময়মনসিংহ)।।
ময়মনসিংহের ভালুকায় বাঁশের বেড়া দিয়ে পাঁচ সদস্যের একটি দরিদ্র, অসহায় পরিবারকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি উপজেলার মল্লিকবাড়ির আখালিয়া বিরামনগর গ্রামে। ওই ঘটনায় মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অবরুদ্ধ পরিবার ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মল্লিকবাড়ি ইউনিয়নের আখালিয়া বিরামনগর গ্রামের মৃত ছমেদ আলী ফকিরের ছেলে হতদরিদ্র মো. আশাব উদ্দিন। স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে নিয়ে তার পাঁচ সদস্যের পরিবার। অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোনমতে চলে তার সংসার। ভালুকার ধামশুর মৌজার ১০৭২ নম্বর দাগে ৪২ শতক জমি পৈত্রক সূত্রে পেয়ে ৬০-৬৫ বছর ধরে ভোগদখলে আছেন তারা। ওই জমিতে তাদের বসতবাড়িও রয়েছে। এদিকে, অনেক বছর ধরে ওই জমির মালিকানা দাবি করে আসছিলেন আশাব উদ্দিনের মামা একই গ্রামের মো. নবী হোসেন। এরই জের হিসেবে গত ৮ এপ্রিল তিনি লোকজন নিয়ে আশাব উদ্দিনের বসতবাড়ির চারদিকে বাঁশের বেড়া দিয়ে পরিবারটিকে অবরুদ্ধ করে ফেলেন।
আশাব উদ্দিনের বলেন, ‘ধামশুর মৌজার ১০৭২ নম্বর দাগে ৪২ শতাংশ সরকারি জমি ৬০-৬৫ বছর ধরে তার দখলে আছে। একসময় এই জমি তার বাবার দখলে ছিলো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই ওই জমি তিনি ভোগদখল করে খাচ্ছেন। মামা নবী হোসেন তাকে তাড়ানোর জন্য বেশ কয়েখ বছর ধরেই চেষ্টা করে আসছে। কয়েকদিন আগে তিনি বাঁশের বেড়া দিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।  এখন তিনি পরিবার নিয়ে তাদের ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থায় আছেন। এই ঘটনায় তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
স্থানীয় অনেকেই জানান, ধামশুর মৌজার ৪২ শতক সরকারী জমি নিয়ে আশাব উদ্দিন ও তার মামা নবী হোসেনের মাঝে অনেক বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারের মাধ্যমে একাধিকবার সালিস-দরবার হয়েছে। কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। নবী হোসেন সালিসের রায় মেনে কিছু দিন চুপচাপ থাকেন। কিছুদিন পর আবার ঝামেলা করতে শুরু করেন। এর আগে ২০২০ সালে আশাবের অভিযোগে একটি নন এফ আই আর মামলা থানা থেকে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিবারটি অবরুদ্ধ অবস্থায় আছে।
অভিযুক্ত নবী হোসেনের ছেলে মো. সুরুজ শেখ জানান, এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামছুল হুদা খান জানান, ওই ঘটনায় বাদির দেয়া অভিযোগে একটি নন এফ আই আর মামলা তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com