প্রকাশিত হয়েছেঃ মার্চ ৯, ২০২৫ সময়ঃ ৮:০৪ অপরাহ্ণ
আসাদুজ্জামান ভালুকা (ময়মনসিংহ)।।
ময়মনসিংহের ভালুকায় হবিরবাড়ি’র সিডস্টোর এলাকায় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি অফিসার আশরাফুজ্জামানের ভুল চিকিৎসায় আয়ূশ বড়ুয়া আদর (৯) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আয়ুশ স্থানীয় আনোয়ার খান মডেল স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির মেধাবী ছাত্র ছিলো। নিহত আয়ুশ বড়–য়া চট্টগ্রামের পটিয়া থানার কেলিশহর, ছত্তর পেটুয়া গ্রামের পীযুষ বড়–য়ার ছেলে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শনিবার (৮ ফেব্রæয়ারি) সকাল থেকে আয়ুশের পেট খারাপ ছিলো, দুপুরে অতিরিক্ত বমি হওয়ায় আয়ূশ বড়ুয়াকে নিয়ে সিডস্টোর-বাটাজোর রোডে লতিফ মেডিক্যাল হলে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি অফিসার মোঃ আশরাফুজ্জামানের (আশরাফ ডাক্তার) কাছে নিয়ে যায়, আয়ুশকে কোন পরিক্ষা-নিরিক্ষা না করেই প্রেসক্রিপশনে এন্টিবায়োটিকসহ একাধিক ইনজেকশন ও স্যালাইনে চিকিৎসা দেয়। পরে স্যালাইন চলা অবস্থায় আয়ুশকে ঝালবাজা রোডের ভাড়া বাসায় নিয়ে আসেন। পরে রাত আটটার দিকে আয়ুশ মারা যায়।
নিহতের বাবা পীযুষ বড়ুয়া জানান, তার সন্তানকে ডাক্তার আশরাফের কাছে নিয়ে গেলে ফুড পয়জন হয়েছে বলে চিকিৎসা দেন। স্যালাইন চলা অবস্থায় ছেলের মৃত্যু হয়। এ ধরনের ভুল চিকিৎসা অন্য কোন শিশুর বেলা যেন না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
আনোয়ার খান মডেল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেন খান জানান, আশরাফুজ্জামান উপ-সহকারী কমিউনিটি অফিসার হয়ে কিভাবে নিজের নামের সাথে ডাক্তার লিখে সব ধরণের রোগী দেখে তা বিভাগীয় তদন্ত করে দেখা উচিত। তার খামখেয়ালীপনার কারণে একটি মেধাবী শিশুর প্রাণ ঝরে গেলো, যা খুবই কষ্টদায়ক।
স্থানীয়রা জানান, আশরাফ কোন এমবিবিএস ডাক্তার না, তার পরেও নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দেন ও সকল রোগের চিকিৎসা দেন এবং প্রায় সময় এরকম ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু ঘটে। স্থানীয় রাজিব হোসেন বলেন, আশরাফের ভুল চিকিৎসায় শুধু আয়ুশের মৃত্যু হয়নি, পূর্বেও একাধিক ঘটনা ঘটেছে। কথিত আশরাফ ডাক্তারের কঠিন বিচার দাবি করছি। এ বিষয়ে লতিফ মেডিক্যাল হলে গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি অফিসার মোঃ আশরাফুজ্জামানকে পাওয়া যায়নি এবং একাধিকবার ফোন করা হলেও তা রিসিভ না করায় তার বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের প.প. কর্মকর্তা ডাঃ নজরুল ইসলাম জানান, একজন উপসহকারী কমিউিনিট অফিসারের এ ধরণের প্রেসক্রিপশন লিখা বা চিকিৎসা দেয়ার কোন সুযোগ নেই। সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।