প্রকাশিত হয়েছেঃ এপ্রিল ১৩, ২০২২ সময়ঃ ৩:৩৮ অপরাহ্ণ

নববর্ষে বৈসাবির ঐতিহ্যবাহী খাবার পাঁচন যা পাহাড়িদের কাছে পাঁজন নামে পরিচিত। মূলত সব রকমের সবজি, শুটকি বা চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করা হয়। বৈসাবিতে পাহাড়ের ধনী-গরিব সবার বাড়িতেই রান্না ও পরিবেশন করা হয় এই পাঁচমিশালি খাবারটি। যুগ যুগ ধরে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বিশেষ প্রকারের এই তরকারিটি বৈসাবিতে পরিবেশনের মাধ্যমে তাদের ঐতিহ্য টিকিয়ে রেখেছে। তবে বর্তমানে পাঁজনের পাশাপাশি বিভিন্ন মুখরোচক অনেক খাবারই স্থান পাচ্ছে। তাতে অনেকেই বলছে পাঁজনের ঐতিহ্য ঝুঁকিতে পড়ছে।

প্রথমেই বিভিন্ন সবজি যেমন, আলু, পেঁপে, গাঁজর, কাঁঠাল, সজনে ডাটা, বন থেকে সংগ্রহ করা সকল প্রকারের সবজি কেটে ধুয়ে নিয়ে যে যার মত মসলা, শুটকি মাছ বা চিংড়ি মাছ দিয়ে ঐতিহ্যবাহী পাঁজন তোন বা তরকারি রান্না করেন। এরপর সারাদিন আত্মীয়-স্বজনসহ পাড়া-প্রতিবেশীদের এই পাঁজনসহ বিভিন্ন নাস্তা দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। পাঁচন বা পাঁজনের স্বাদ নিতে একপাড়া থেকে অন্যপাড়ায় ঘুরে বেড়ায় শিশু-কিশোর, তরুণরা।
বন্ধুক ভাঙ্গা ইউনিয়নের সুরেশ চাকমা জানান, মূলবিজু বা সংক্রান্তিতে আমরা পাঁজন রান্না করে থাকি। সারাদিন এ বাড়ি থেকে ওই বাড়ি ঘুরে ঘুরে পাঁজন খাওয়া আর মজা ঠাট্টায় মাতে শিশু-কিশোর, তরুণ-বৃদ্ধরা। এই পাঁজনের দিনে সাধারণ তরকারিগুলো ছাড়াও বেশি স্থান পায় বন থেকে সংগ্রহ করা বিভিন্ন সবজি। আমাদের বিশ্বাস নানা স্বাদে এই তরকারি একসাথে রান্না করে খেলে শরীর থেকে নানা রোগব্যাধি মুক্তি পাবে।