প্রকাশিত হয়েছেঃ মার্চ ২৮, ২০২৫ সময়ঃ ৮:১১ অপরাহ্ণ
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি।।
দলীয় পরিচয়ে কয়েকজন ব্যক্তি ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা স্ট্যান্ডে সিএনজি থেকে জিপির নামে প্রতিগাড়ি থেকে একশত টাকা করে জিপির নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠেছে। শুক্রবার (২৮মার্চ) থেকে শুরু হয়েছে ওই চাঁদাবাজি। ঈদ উপলক্ষে ওই স্ট্যান্ড থেকে একদিনে কয়েক লাখ টাকা চাঁদা তুলা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
সূত্রে জানা যায়, পবিত্র ঈদ উপলক্ষে ভরাডোবা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আশরাফুল ইসলাম মুন্নার নেতৃত্বে মোস্তফা, আতিকুল মফিসুলসহ আরও বেশ কয়েকজনে মিলে এ চাঁদাবাজি করছে। ঈদের আগে স্ট্যান্ডে জিপি ছিলো প্রতি গাড়ি ১০টাকা। গত বৃহস্পতিবার প্রতিগাড়ি থেকে ৫০টাকা করে আদায় করা হয়। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনিকভাবে কোনো বাধার সম্মুখিন না হওয়ায় তারা আরো বেশি উৎসাহিত হয়ে শুক্রবার থেকে গাড়ি প্রতি ১০০টাকা করে আদায় করা শুরু করেন তারা। চালকরা জানান, এ স্ট্যান্ড থেকে উথুরা, সাগরদীঘি, গারবাজার, মধুপুর, ধনবাড়ি, দিকপাইত, ভূয়পুর, ঘাটাইল, এলেঙ্গা ও সখিপূর রোডে প্রতিদিন ৫-৬শত সিএনজি চলাচল করে। জিপির নামে চাঁদাবাজির বিষয়টি নিয়ে সিএনজি চালকরা প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। এছাড়া ভালুকা গফরগাঁও সড়কে শিমুলতলা, থানামোড়, সিডস্টোর, বিরুনীয়া, পাঁচরাস্তামোড়ে মল্লিকবাড়ি রোডসহ বিভিন্ন শাখা সড়কে পরিবহন সেক্টরে হরদম চাঁদাবাজি ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্যে আশরাফুল ইসলাম মুন্নার মুঠোফোনে বারবার কল দিয়েও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জিপি আদায়কারী মোস্তফা জানান, ঈদে রাস্তা যানজট মুক্ত রাখার জন্য আমরা কিছু লোকজন খাটাচ্ছি। তাদের পারিশ্রমিকের জন্য প্রতি গাড়ি থেকে ৫০টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।
ভালুকা মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ শামছুল হুদা খান জানান, তিনি ভরাডোবা এলাকায় গিয়ে সতর্ক করে দিয়ে এসেছেন।।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে এসি ল্যান্ডকে পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু চাঁদাবজরা খোঁজ পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে গেছে। তবে প্রশাসনের তৎপরতা রয়েছে বলে জানান।