প্রকাশিত হয়েছেঃ মার্চ ২২, ২০২৫ সময়ঃ ৫:৩৭ অপরাহ্ণ

Spread the love
মোঃ জাকির হোসেন, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি।।

তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মানুষের আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে মৃত ব্যক্তিদের মোবাইল সীম রেজিষ্ট্রেশন ও ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকা  প্রতারণাকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ময়মনসিংহের কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন,

গত বৃহস্পতিবার ২০ মার্চ রাতে ময়মনসিংহ নগরীর গোহাইলকান্দি থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে মোবাইলের সীম তৈরি, ফিঙ্গার হিটার, মেশিন, বায়োমেট্রিক স্ক্যানার, তিন শতাধিক নকল সীম উদ্ধার করে। কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মোঃ সফিকুল ইসলাম খান  শনিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মোঃ সফিকুল ইসলাম খান জানান,  বৃহস্পতিবার   (২০মার্চ) রাত পৌনে ১১ টায় গোপন সংবাদে জানা যায়, কতিপয় ব্যক্তিরা গোহাইলকান্দি এলাকায় তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মানুষের আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে মোবাইল সীম রেজিষ্ট্রেশন করে অন্যত্র বিক্রি ও প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে কোতোয়ালী পুলিশের একটি শক্তিশালী টিম, শুক্রবার মধ্যরাতে গোহাইলকান্দি তিনকোনা পুকুরপাড়ে অভিযান চালায়। অভিযানে হাফিজুল ইসলাম প্রিন্সকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত প্রিন্সের স্বীকারোক্তি মত, ঐ রাতেই পুলিশ প্রিন্সকে সাথে নিয়ে ইটাখোলা থেকে আজিজুল হক ও তানভীর রহমান কাব্যকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদেরকে সাথে নিয়ে শুক্রবার দিনভর টানা অভিযান চালিয়ে গোহাকান্দির একটি বাসা থেকে মোবাইলের সীম তৈরি, ফিঙ্গার হিটার, মেশিন, বায়োমেট্রিক স্ক্যানার, তিন শতাধিক নকল সীম উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত আলামতের মধ্যে রয়েছে, ল্যাপটপ তিনটি, মোবাইল সাতটি, ফিঙ্গার হিটার মেশিন তিনটি, ফিঙ্গার বায়োমেট্রিক স্ক্যানার, বায়োমেট্রিক ফিঙ্গার স্ক্যানার আটটি, ফিঙ্গার ছাপা যুক্ত নেগেটিভ ৩০ পিস, ফিঙ্গার প্রিন্ট ব্যবহার করার রাবার, গ্রামীন সীম ৩০০ পিস, সাদা কাগজে প্রিন্ট করা বিভিন্ন ব্যক্তির এনআইডি নাম্বার সহ ১৫ পাতার তালিকা, একটি মোবাইল ট্যাব। এ ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক সাজেদ কামাল প্রতারকচক্রের অন্যান্য সদস্যদের সনাক্তকরণে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আসামিদের শনিবার আদালতে পাঠিয়েছেন।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com