প্রকাশিত হয়েছেঃ মার্চ ৫, ২০২৫ সময়ঃ ৮:১২ অপরাহ্ণ

Spread the love
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি।।
ময়মনসিংহের ভালুকায় মামলা করতে গিয়ে সাদিয়া আফরিন নাসিমা (৪০) নামে এক নারী ভূক্তভোগীকে মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার আমিনুল ইসলাম অসৈজন্যমূলক অচরণের পর আদালতে মামলা করার কথা বলে থানা থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরে ওই ভূক্তভোগী নিরুপায় হয়ে উপ মহাপুলিশ পরিদর্শকসহ (ডিআইজি) বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার আশকা গ্রামের পুলিশ অফিসার মৃত মজিবর রহমানের স্ত্রী সাদিয়া আফরিন নাসিমা গংয়ের সাথে প্রতিবেশি সাহিদ খান গংদের জমিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এমনকি নাসিমাদের বিরুদ্ধে গত ১২ বছরে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। যদিও মামলাগুলো আদালত নাসিমাদের পক্ষে রায় দেয়। এদিকে গত
গত ২৬ ফেব্রæয়ারী সন্ধ্যায় নাসিমা তার  গ্রামের বাড়িতে গেলে বিবাদীগণ সঙ্গবদ্ধ হয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দা, ছুড়ি, বাঁশ, লাঠি দেশীয় অস্ত্র নিয়া যাতায়াতের রাস্তায় অবস্থান নেয়। বিষয়টি তার বড়বোন হেলেনা খাতুন জানতে পেরে আইনী সহায়তায় ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে নিয়ে নাসিমাকে উদ্ধার করে। এ সময় বিবাদীরা বিষয়টি টের পেয়ে খুন জখম করে লাশ গুম করার হুমকী দিয়ে চলে যায়।
অভিযোগের বাদি নাসিমা জানান, প্রতিপক্ষদের হুমকীর কারণে তিনি প্রায় ১২ বছর ধরে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছেন। তার স্বামী ২০১৮ সালে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে পুলিশের এসআই পাদে কর্মরত থাকা অবস্থায় হার্ট এ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেন। স্বামী না থাকায় সুযোগে গত আওয়ামী সরকারের সময়ে বিবাদীরা তাকে মারধর ও শারীরিকভাবে হেনস্থাসহ একের পর এক মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানী করেছে। এমনকি ১০ লাখ টাকা দাবি করে আসছে এবং ওই টাকা না দিলে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হুমকী দিয়ে আসছে। বর্তমানে তিনি ছেলে মেয়ে নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। এসব ঘটনায় তিনি সাহিদ খান (৫৫), অহিদ খান (৬০), আদম আলী বকুল  ও সৌরভ খানকে (৩০) অসামী করে ভালুকা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে থানার সেকেন্ড অফিসার আমিনুল ইসলাম বিবাদী পক্ষের হয়ে তার সাথে অসৈজন্যমূলক আচরণ করে আদালতে মামলা করতে বলে থানা থেকে বের করে দেন। এর আগেও এসআই আমিনুল ইসলাম গত ৫ বছর পূর্বে এই থানায় কর্মরত থাকাবস্থায় রহস্যজনক করাণে বিবাদীদের পক্ষ নিয়ে আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করেছেন।
প্রতিপক্ষ আদম আলী বকুল জানান, নাসিমা তাদের বিরুদ্ধেও জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানী করেছেন।
থানার সেকেন্ড অফিসার আমিনুল ইসলাম জানান, বাদির সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করা হয়নি। তাকে কিছু বিষয় কাটছাট করে লিখে আনার জন্য বলা হয়েছিলো। তানা হলে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয় হয়। অভিযোগটি হাতে না নিয়ে বা না পড়ে বাদিকে এসব কথা বলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন সদোত্তর দিতে পারেননি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া জানান, নাসিমাদের সাথে সাহিদ খানের অনেক আগে থেকেই জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। গত ২৬ ফেব্রæয়ারী নাসিমা ৯৯৯ নম্বর ফোন দিলে এলাকায় পুলিশ আসে এবং আমাকে খবর দেয়। পরে পুলিশসহ আমি গিয়ে নাসিমাকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করি। এ সময় পুলিশের খবর পেয়ে প্রতিপক্ষরা হয়তো আত্মগোপনে চলে যায়।
ময়মনসিংহ বিভাগের উপ মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) ড. আশরাফুর রহমান জানান, অভিযোগটি তদন্তের জন্য একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com