প্রকাশিত হয়েছেঃ জুন ২৮, ২০২৪ সময়ঃ ৯:২৭ পূর্বাহ্ণ

গাজীপুর থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক।।
গাজীপুরে নবম শ্রেণির চার শিক্ষার্থী একটা মোবাইলের জন্য তাদের সহপাঠীকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। এতে গুরুতর আহত সহপাঠী মোহাইমেনুল ইসলাম মাহির (১৪) অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ তিন শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতদের দুই জন গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাইস্কুলের এবং অপরজন গাজীপুর আইডিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। এঘটনায় গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাইস্কুলের নবম শ্রেণির অভিযুক্ত অপর ছাত্র পলাতক রয়েছে। তাদের মধ্যে মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামী  আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। অপর দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে বুধবার আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম ও বাদি ভিকটিম মাহির মা ফারিজা আখতার জানান, গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র মোহাইমেনুল ইসলাম মাহির একটি মোবাইল ফোন সম্প্রতি স্কুল থেকে খোয়া যায়। গত ২৪ জুন সকাল সাড়ে ১০টায় মাহির তিন সহপাঠী খোয়া যাওয়া ওই মোবাইল ফোনের সন্ধান দিতে মাহিকে তাদের স্থানীয় পশ্চিম চতর স্কুলগেটের বাসা থেকে ডেকে নেয়। পরে তাকে একটি অটোরিকশায় তুলে নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের মারিয়ালী কলাবাগান পাগলার মাঠ নামক স্থানে নেয়। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করছিলো তাদের সহযোগী গাজীপুর আইডিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র (১৫)। ওই মাঠে তারা সবাই মিলে ভিকটিম মাহির সাথে থাকা স্মার্ট মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে মাহির অভিযোগে তাদের সমস্যা হতে পারে ভেবে তারা মাহিকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। হত্যার উদ্দেশ্যে তারা মাহিকে ধরে মারিয়ালী কলাবাগান বিথীকা আবাসিক প্রকল্পের নির্মাণাধীন একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা নিশ্চিত ভেবে ওই ভবনে ফেলে রেখে তারা দ্রæত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ঘটনার কিছুক্ষণ পর স্থানীয় কয়েক যুবক ওই ভবনে গিয়ে মাহিকে অজ্ঞান ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে দ্রæত হাসপাতালে নেয়। মাহি বর্তমানে গাজীপুর শহিদ তাজ উদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিউতে নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছে। তার অবস্থা শংকটাপন্ন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার ভিকটি মাহির মা ফারিজা আখতার বাদী হয়ে জিএমপি সদর থানায় নবম শ্রেণির ওই চার  শিক্ষার্থীর নামে মামলা দায়ের করেছেন।
এব্যাপারে জিএমপি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ রাফিউল করীম বলেন, ভিকটিম মাহির অবস্থা এখন কিছুটা উন্নতির দিকে। সুস্থ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জেনে পরবর্তীতে আরো ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত থাকলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে। মোবাইল ছাড়া আরো অন্য কোন ঘটনা জড়িত থাকলে তদন্ত করে তাও বের করা হবে।
#

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com