প্রকাশিত হয়েছেঃ জুলাই ৬, ২০২১ সময়ঃ ৮:৩২ অপরাহ্ণ
আসাদুজ্জামন ফজলু, দিগন্তবার্তা ডেক্স, ৬ জুলাই:-
দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কোরবানি ঈদে বাহাদুরের সঠিক দাম নিয়ে শংকিত গরুটির মালিক ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী গ্রামের সিডষ্টোর বাজারের পশ্চিম পাশে বায়তুন নূর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মিজানুর রহমান। তার বাসার সামনে ছোট পরিসরে ৫/৭টি গরু নিয়ে একটি গরুর খামার গড়ে তুলেছেন। কপালে সাদা আর সারা শরীর কালো রঙের ষাঁড়টি এবার ভালুকায় সবার নজরে এসেছে। নাম তার ‘ভালুকার বাহাদুর’। এরই মধ্যে দূর থেকে প্রতিদিনই ষাঁড়টি দেখতে ভিড় জমাচ্ছে অসংখ্য মানুষ। চলছে দামাদামি। হবিরবাড়ী গ্রামের শফিকুল ইসলাম জানান,ষাঁড়টি দেখতে খুবই সুন্দর। মানুষের কাছে শুনে আমিও দেখতে এসেছি। মসজিদের পাশে নিজ বাসার সামনে গড়ে তুলেছেন গরুর খামারটি। ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড়টি তিন বছর ধরে লালন পালন করে বড় করে তুলেছেন। এই বাহাদুরের উচ্চতা ৫ ফুট, চওড়ায় ১১ ফুট, দাঁত ৬টি আর ওজন ২২ মণ। অর্থাৎ ৮৮০ কেজি। সব সময় প্রাকৃতিক খাদ্য খাইয়ে আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে ষাঁড়টিকে। ষাঁড়টির মালিক মাওলানা মিজানুর রহমান এর দাম হাঁকছেন ১০ লাখ টাকা। তিনি বলেন, মসজিদে ইমামতি করার পাশা পাশি গরুর খামারটি গড়ে তুলেছি। ‘আমার খামারে বর্তমানে দুটি ষাঁড় ও একটি গাভি রয়েছে। নিজস্ব গাভি থেকে জন্ম নেয়া এই ষাঁড়টি তিন বছরে সবচেয়ে বড় ও আকর্ষণীয় হওয়ায় নাম দিয়েছি ভালুকার বাহাদুর। ‘সকলের নজরে এসেছে ষাঁড়টি। আমি দাম চাইছি ১০ লাখ টাকা।’ তিনি আরো বলেন, ‘এই ষাঁড়টি পরিবারের একজন সদস্যের মতো আদর-যত্ন করে বড় করেছি। বিক্রি করলে মায়া লাগবে। সংসার চালাতে প্রতিদিন ৫০০ টাকা খরচ না হলেও এই ষাঁড়টির পেছনে প্রতিদিন ৫০০ টাকার ওপরে খরচ হয়। তাই কোরবানি ঈদে বিক্রি করে দিব। করোনার কারনে ষাঁড়ের সঠিক দাম নিয়ে শংকিত আছি ।