প্রকাশিত হয়েছেঃ নভেম্বর ২৯, ২০২৫ সময়ঃ ৪:৩০ অপরাহ্ণ
মোঃ জাকির হোসেন, ময়মনসিংহ।।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব প্লান্ট সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি(BSPST) এর ৪র্থ জাতীয় সম্মেলন
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী শনিবার (২৯ নভেম্বর) বেলা ১২ টায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এর সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।
এবছর সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিলো ‘জলবায়ু সহনশীলতা ও টেকসই কৃষির জন্য উদ্ভিদ বিজ্ঞান’ যা বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের মাধ্যমে টেকসই সমাধানের দিকে সংশ্লিষ্টদের সম্মিলিত অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে। বিএসপিএসটি এর সভাপতি এবং শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে এবং সহকারী প্রফেসর ড. সাদিয়া আরেফিন জুথী’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর এবং বিএসপিএসটি এর মহাসচিব ড. মো: আব্দুল বাসেত মিয়া। মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন বাকৃবির প্রফেসর এবং সংগঠনের সাবেক সভাপতি ড. মো: সোলায়মান আলী ফকির।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অবদানের জন্য ৪ জনকে স্মারক সন্মাননা প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, “আমাদের বেঁচে থাকার মূল ভিত্তি হলো উদ্ভিদ। শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণের জন্য বিশুদ্ধ অক্সিজেন থেকে শুরু করে ছায়া, কাঠসহ জীবনের প্রয়োজনীয় অগণিত উপকরণ আমরা উদ্ভিদ থেকেই পাই। অথচ এই মূল্যবান দিকগুলো আমাদের দেশে সবচেয়ে কম আলোচিত হয়, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
তিনি বলেন,এই মহাগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অধিকতর উপলব্ধি তৈরির পাশাপাশি গবেষণা ও প্রয়োগভিত্তিক কাজ করা এখন সময়ের দাবি। আমাদের নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে এবং দেশের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘প্ল্যান্ট সেক্টর’ নিয়ে একটি অনুকূল ও সময়োপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন অত্যন্ত জরুরি ,তবে এই নীতিমালা যেন কেবল কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ না থাকে—বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে বলেও তিনি বলেন ।
তিনি আরও বলেন, বিদেশে বোটানিক্যাল গার্ডেনগুলোতে সরকারিভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পদ বিনিয়োগ করা হয়। সেখানে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
শেষে তিনি এই সোসাইটির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।
উল্লেখ্য, উক্ত কনফারেন্সে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, গবেষকবৃন্দ, বাকৃবির শিক্ষা বিষয়ক ও প্রশাসনিক ঊর্ধ্বতন অধিকর্তাবৃন্দ,পিএইচডি ও এম.এস পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ অংশগ্রণ করেন।


