প্রকাশিত হয়েছেঃ জুলাই ১১, ২০২৫ সময়ঃ ৮:০৭ অপরাহ্ণ
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি।।
ময়মনসিংহের ভালুকায় নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষার ফি দিতে না পারায় পরীক্ষা চলাকালীন এক শিক্ষার্থীকে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে গেলে শিক্ষার্থীর অভিভাবককে মারধর করে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভালুকা উপজেলার তামাট ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মোছা. মিম আক্তার (১২) গত ৭ জুলাই (সোমবার) অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিল। নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষার ফি পরিশোধ না করায় তাকে পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা।
পরিবারের দাবি, ওইদিন সকাল ৯টার দিকে মিম ওই মাদ্রাসার কেরানি আব্দুল আওয়াল খানের কাছে পরীক্ষার ফি পরিশোধের জন্য গেলে তাকে সকাল ১০টায় আসতে বলা হয়। পরে সে পরীক্ষায় অংশ নিলে সাড়ে ১০টায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাকে পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেয়।
এই ঘটনা জানার পর শিক্ষার্থীর পিতা মো. মোশারফ হোসেন প্রতিবাদ জানাতে গেলে মাদ্রাসা শিক্ষক ও কর্মচারীরা তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন এবং তার ডান কানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে রক্তাক্ত জখম হয়।
অভিযুক্ত মাদরাসার শিক্ষক হাসানুজ্জামান সরকার জানান, তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়, তবে ভিডিও করার কারণে শিক্ষার্থীর বাবার কাছ থেকে মোবাইলটি জোরপূর্বক আনা হয়েছে।
পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় মোশারফ হোসেনকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেন। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে বুধবার (৯ জুলাই) তাকে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়, তিনি বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এই ঘটনায় ওই ছাত্রীর চাচা মো. মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন, মো. হাসানুজ্জামান সরকার, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. রেজাউল, মো. বারেক মাষ্টার। তারা সকলেই ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ও কর্মচারী।
এ বিষয়ে ভালুকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানায়, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।