প্রকাশিত হয়েছেঃ জুন ১৩, ২০২৫ সময়ঃ ১২:৫৩ অপরাহ্ণ
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি।।
ময়মনসিংহের ভালুকায় সরকারী রাস্তার পাশ থেকে রাতের আঁধারে ২০ বছর বয়সি ৫০ টি বিশাল আকারের আকাশমনি ও মেহগনি গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কাঠালী-মল্লিকবাড়ি এলজিইডি সড়কে মল্লিকবাড়ি ৯ নম্বর বাঁধের দুইপাশ থেকে গাছগুলো কেটে নেয়া হয়। এ ঘটনায় মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভালুকা উপজেলার কাঠালী-মল্লিকবাড়ি এলজিইডি সড়কে মল্লিকবাড়ি ৯ নম্বর বাঁধের দুইপাশে গত ২০ বছর আগে সাত শতাধিক আকাশমনি গাছের চারা রোপন করা হয়। গাছগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য স্থানীয় স্বপন মিয়ার স্ত্রী মোর্শিদাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। সম্প্রতি ওই স্থানে ইটের উচু প্রচীর নির্মাণ করে একটি কারখানার কাজ চলছে। আর ওই প্রাচীরের পাশ থেকেই রাতের আঁধারে গাছগুলো কেটে নেয়া হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, বেশ কয়েকদিনে ইতোমধ্যে ৫০ টি আকাশমনি ও মেহগনি গাছ কেটে নেয়া হয়েছে এবং ১২ টি গাছ কেটে ফেলে রাখা হয়েছে নিয়ে যাওয়ার জন্য। খবর পেয়ে মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। তবে কেউ মালিকানা দাবি না করায় গাছের টুকরাগুলো জব্দ করে স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
গাছগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা স্বপন মিয়ার স্ত্রী মোর্শিদা জানান, গাছগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ২০১১ সালে তাকে লিখিতভাবে দায়িত্ব দেন। তার আরো ৭/৮ বছর আগে গাছগুলো রোপন করা হয়েছিলো। রাতের আঁধারে কোম্পানীর লোকজন গাছগুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছে। বাঁধা দিতে গেলে তাকে ভয়ভিতি ও হুমকী দেয়া হয়। তিনি এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানান।
গাছের ক্রেতা সিরাজ উদ্দিন বেপারী জানান, ২৫/২৬ টি গাছ তিনি এক লাখ টাকা দিয়ে কিনেছেন এবং সাদিকুল নামে এক ব্যক্তিকে টাকাগুলো অগ্রিম দিয়েছেন। বেশ কয়েকটি গাছ কেটে আনলেও বাঁধার কারণে অবশিষ্ট গাছগুলো আনতে পারেননি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তফা কামাল জানান, সরকারী রাস্তার পাশ থেকে বেশ কিছু গাছ কেটে নেয়া হয়েছে। অবশিষ্ট কিছু গাছ তার জিম্মায় রাখা হলেও বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাতের আঁধারে চুরি করে নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে তিনি নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেছেন।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ূন কবির জানান, গাছ কাটার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কেউ মালিকানা দাবি না করায় জব্দ করা সম্ভব হয়নি। তবে এ ব্যাপারে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা এক মহিলা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে আাইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান আব্দুল্ল্যাহ আল মাহমুদ জানান, খবর পেয়ে রাস্তার পাশ থেকে গাছ কেটে নেয়ার বিষয়ে তিনি খবর নিয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে যে, স্থানীয় নির্মাণাধিন ফ্যাক্টরীটির লোকজন গাছগুলো কেটে নিতে পারেন। আপাতত কিছু গাছের টুকরা স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়েছে। অফিস খোলা হলে ওই বিষয়ে অধিকতর খোঁজ নিয়ে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
# ##