প্রকাশিত হয়েছেঃ জুন ৪, ২০২৫ সময়ঃ ৮:০৭ অপরাহ্ণ
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি।।
ময়মনসিংহের ভালুকায় জমি দখলে বাঁধা দেয়ায় দুই দফায় হামলা করে পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক কাউন্সিলরসহ চারজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। আহতদের মাঝে দুইজনকে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (০৪ জুন) সকালে ভালুকা পৌরসভার কাঁঠালী এলাকায় ওই ঘটনাটি ঘটে। ওই ঘটনায় ৯ জনের নাম উল্লেখসহ ৩০-৩৫ জনকে আসামী করে ভালুকা মডেল থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ ও স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বাটারফ্লাই ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড ২০১৮ সালে ঢাকার মতিঝিলের গুলশান-২ এর বাসিন্দা কে,এম জাকির হোসেনের কাছ থেকে কাঁঠালী মৌজার এসএ দাগ ২৬৮ নম্বরসহ বিভিন্ন দাগের ৮ একর ৮৭ শতক জমি ক্রয় করে ভোগ দখলে ছিলেন। এদিকে, স্থানীয় কামরুল ইসলাম ঢালী বুধবার বাটারফ্লাইয়ের দখলে থাকা জমি থেকে ২-৩ বিঘা জমিতে খুঁটি ও বেড়া দিয়ে দখলে নেয়ার চেষ্টা করেন। ওই সময় খবর পেয়ে বাটারফ্লাইয়ের স্থানীয় প্রতিনিধি পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক কাউন্সিলর মাহাবুবুল আলম দুলুসহ অন্যান্যরা বাঁধা দিতে গেলে দখলকার কামরুল ইসলাম ঢালী ও আমান উল্লাহ তাজুলের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। পরবর্তীতে বাঁধা প্রদানকারীরা কারখানা গেইটে ফিরে আসলে পতিপক্ষরা সেখানে এসে তাদের উপর দ্বিতীয় দফা হামলা চালায়। এতে, মাহবুবুল আলম দুলু (৫০), সবুজ মিয়া (৫৩), আবুল কালাম (৪০) ও আশিক ফকির (৩০) আহত হন। ওই ঘটনায় মাহাবুবুল আলম দুলু বাদি হয়ে ভালুকা মডেল থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগে কাঠালী গ্রামের কামরুল ইসলাম ঢালী, পৌর বিএনপির সদস্য একই এলাকার আমান উল্যাহ তাজুনসহ ৯জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৩০-৩৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মাহাবুবুল আলম দুলু জানান, বাটারফ্লাইয়ের কেনা জমির সাফকবলা দলিল করার সময় কামরুল ঢালী নিজেই সনাক্তকারী হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ওই জমি কিভাবে দাবি করছেন? তাছাড়া, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় আ’লীগের দোসর আমান উল্যাহ খান মাখনের সাথে কামরুল ঢালী যৌথভাবে বাটারফ্লাই কোম্পানিতে ব্যবসা করেছেন। তিনি তার উপর হামলার শাস্তি দাবি করেন।
অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম ঢালী জানান, তার জমিতেই তিনি পিলার পুতে সিমাণাপ্রাচীর নির্মাণ করেন।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত চলমান।