প্রকাশিত হয়েছেঃ সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪ সময়ঃ ৬:৩৮ অপরাহ্ণ

জালালুর রহমান, মৌলভীবাজার।।

জেলার জুড়ীতে উপজেলার বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকদের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। ফলে, এলাকার শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম হলো ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কুল মোহন দাশ। শিলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুল হামিদ। জানা গেছে, জুড়ী উপজেলা ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে মোট ৪৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়  রয়েছে। ওই সব প্রাথমিক বিদ্যালয়  প্রতোকটিতে ১জন করে প্রধান শিক্ষক এবং একাধিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ দেওয়ার পর সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ হতে তাদের আগমন এবং প্রস্থান বেধে দেয়া হয়েছে। উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট হতে সময় নির্ধারণ করলেও ওইসব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরীরত প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের অনেকেই কতৃপক্ষের নির্দেশ কে উপেক্ষা করে নিজেদের খুশিমতো বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করেন। সম্প্রতি সরেজমিনে ওই সব প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, ২টি বিদ্যালয় যথাক্রমে ভবানীপুর  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুল মোহন দাশ সকাল ৯টা ৩১মিনিটে আগমন করেন, সহকারী শিক্ষক নিপা রানী চন্দ ১০টা ৩৪মিনিটে, সহকারী শিক্ষক সাজেদা খানম ৯টা ৫৫মিনিটে, সহকারী শিক্ষক মেহেজাবিন নাহার সোনিয়া সকাল ১০টায় আগমন করেন। শিলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান  শিক্ষকের অবহেলার ফলে ওই সব শিক্ষকেরা নিজেদেরই ইচ্ছা মাফিক আগমন করেন। সহকারী শিক্ষক মোছাঃ জাহানারা ইয়াছমিন ১০টায় আগমন করেন, সহকারী শিক্ষক নন্দন কুমার দাম ৯টা ৪২মিনিটে, সহকারী শিক্ষক জামিলা বেগম, সহকারী শিক্ষক শ্রীমতি সম্পা রানী দাস, সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান তাদেরকে সকাল ১০টার পরেও পাওয়া যায়নি। ওইসব এলাকায় গিয়ে শিক্ষার্থীদের অবিভাবকদের সাথে কথা হলে, ভুক্তভোগীরা বলেন, সরকার  আমাদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করার জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয় বানাইয়া দিয়েছেন। শিক্ষক ও দিয়েছেন। কিন্তু শিক্ষকরা  সময়মতো আসে না। এরজন্য আমাদের ছেলে মেয়েসহ আমরা স্কুলের সম্মুখে তালা খুলার অপেক্ষায় দাড়িয়ে থাকি। আমরা ওই শিক্ষকদের বিচার চাই। আমাদের দাবি সরকারের নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয়টি খোলা হোক এবং বন্ধ হোক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুল হামিদ এবং ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক কুল মোহন দাশ সাংবাদিকদের সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, জুড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিসার দিলীপময় দাশ চৌধুরী বলেন আগমন ও প্রস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। মৌলভীবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: খোরশেদ আলম বলেন তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com