প্রকাশিত হয়েছেঃ আগস্ট ২০, ২০২৪ সময়ঃ ৪:৫১ অপরাহ্ণ

মোঃ জাকির হোসেন, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি।।

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার ধোবাউড়া-কলসিন্দুর রাস্তা সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটি  সদর বাজার ব্রিজ থেকে কৃঞ্চপুর চৌরাস্তা প্রায় দুই  কিলোমিটার রাস্তা। সড়কটিতে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত আর খানা-খন্দ। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা আর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের।

স্থানীয়রা জানান, বিগত কয়েক বছরে রাস্তাটির কিছু অংশ সস্কার হলেও বাকি অংশটুকু  সংস্কার না হওয়ায় ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার  দক্ষিনমাইজপাড়া ও গামারীতলা  ইউনিয়ন সহ  সীমান্তের  অর্ধলক্ষাধিক  মানুষে ধোবাউড়া   উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান সড়ক এটি। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ চিকিৎসা, ব্যবসা, প্রশাসনিক কাজসহ নানা প্রয়োজনে উপজেলা ও জেলা শহরে যাতায়াত করে। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার গর্তে জমে থাকে পানি। এবং দুর্গাপুর থেকে বালুভর্তি ট্রাক চলাচল করায় রাস্তাটি বর্তমানে বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছে।

এছাড়াও হাজারো পর্যটক ও দর্শনার্থীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসে চিনা -মাটির লালপাহাড়ের  সৌন্দর্য উপভোগ করতে। অপরদিগে বিজয়পুরের পাহাড়েরর দৃশ্য অবলোকন করতে। আর এ সকল পর্যটকদের যাওয়ার প্রধান সড়ক ও এটি। চলাচল করে অসংখ্য মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, অটোরিকশা, যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী পিকআপসহ অন্যান্য ইঞ্জিন চালিত গাড়ি।

রাস্তাটির প্রায় এক কিলোমিটার অংশের এতই বেহাল দশা যে মাঝে মাঝে গাড়ি থেকে যাত্রী নামিয়ে তাদের দ্বারা গাড়িতে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার ভাঙ্গা অংশ পার করা হচ্ছে। মাঝে মধ্যেই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এছাড়া অসুস্থ রোগী ও গর্ভবতী মায়ের চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টি হলেই খানা খন্দের স্থানগুলোতে জমে যায় পানি। তখন রাস্তা  দিয়ে চলতে পথচারীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় ।

স্থানীয়রা জানিয়েছন, দেশের খনিজ সম্পদ চিনামাটির পাহাড় এ উপজেলায় অবস্থিত যেখানে হাজার হাজার পর্যটক লাল নীল সাদা মাটি দেখতে ভীড় করে কহিনূর টিলাতে। দুঃখের বিষয় প্রতিদিন রাত দশটা থেকে  চিনা মাটি ভর্তি ট্রাক বিশ থেকে ২৫  অতিরিক্ত লোডে রাস্তা ডেবে যাওয়াই জনদূর্ভোগ চরমে পৌচেছে।  অতি দ্রত  রাস্তাটি সংস্কার করে পথচারীদের চলাচলের উপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জনসাধারণের।

এ বিষয়ে  এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী  আবুবকর ছিদ্দিক এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন  অবগত আছি অনুমোধনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই কাজ শুরু হবে।

প্রকাশক ও সম্পাদক

আসাদুজ্জামান (ফজলু)

হাউজ নং: ২০, ফ্ল্যাট নং: বি২, রোড নং: ০৭

সেকশন: ১২, উত্তরা, ঢাকা – ১২৩০

মোবাইল: ০১৭১৮-১৯২৬৮৫, ০১৭৬১-৫৮২৩৩৮

ইমেইল: contact@digontabarta.com